পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
কিন্তু আপনি জানেন কি, এই নিয়ম তিনজনের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেই তিনজন বিদেশ ভ্রমণে গেলে পাসপোর্টের কথা ভুলেও কেউ জিজ্ঞেস করবে না।
সেই সৌভাগ্যবানরা হলেন— ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা ও রানী। ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ যতদিন পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন ততদিন তিনি এই সুবিধা পেতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর ব্রিটেনের রাজার সেক্রেটারি সব দেশকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই বার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন, তৃতীয় চার্লস ব্রিটেনের রাজা হওয়ায় তার সব দেশে অবাধে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
শুধু ব্রিটেন রাজ পরিবারের রাজাই পাসপোর্ট ছাড়া অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। তার পরিবারের বাকিদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। এমনকি রানী থাকলেও তিনি এ সুবিধা পাবেন না। ঠিক একইভাবে জাপানের রাজা এবং রানীও এই সুবিধা পান। তারাও পাসপোর্ট ছাড়াই সব দেশে যেতে পারেন।
জানা গেছে, ব্রিটেনের রাজার সফরে একটি নথি রাখা হয়। যেখানে লেখা থাকে, এই নথিটি যার কাছে থাকবে তাকে অবাধে সফর করার সুযোগ দেওয়া হোক। যদিও এই নথি শুধু রাজাই পেয়ে থাকেন।
অপরদিকে, জাপানের রাজা ও রানী কোনো দেশ সফর করার আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে এই দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত লিখে পত্র পাঠায়। যাতে তাদের ইমিগ্রেশনের মুখে পড়তে না হয়।
পৃথিবীর ২০০টিরও বেশি দেশের ৮৫০ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে শুধু এই তিনজন ব্যক্তি পাসপোর্ট ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারেন। তাদের পাসপোর্ট তো কেউ দেখতে চাইবেই না, অতিরিক্ত আতিথেয়তা ও পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হবে তাদের।