সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে ১৬ একর আয়তনের এ দিঘিটি অবস্থিত। দিঘিটি হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের কাছে একটি তীর্থস্থান। জনশ্রুতি আছে, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত জনৈক রাজনারায়ণ চক্রবর্তী সন্তান লাভের বাসনায় এই দিঘি খনন করান। তাঁর দুই কন্যাসন্তান হলে তিনি নাম রাখেন সিন্দুর ও মতি। কিন্তু দিঘি খনন হলে দেখা যায়, তাতে পানি উঠছে না।
স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে জমিদার নবমীর দিনে খননকৃত দিঘির ঠিক মাঝখানে পূজার আয়োজন করেন। পূজা সমাপ্ত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে প্রবলবেগে পানি উঠে দিঘি ভরে যায় এবং সিন্দুর ও মতি ঐ পানিতে ডুবে মারা যায়। সিন্দুর ও মতির নামানুসারে দিঘিটিসহ এলাকাটির নাম হয়েছে সিন্দুরমতি। এখানে দুই চূড়া বিশিষ্ট সিন্দুরমতি মন্দিরের পাশে একটি দুর্গা মন্দির রয়েছে।