পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া সিন্দুকছড়ি হয়ে সড়কটি শেষ হয়েছে মহালছড়িতে। সিন্দুকছড়ি ভ্রমণে আঁকাবাঁকা সড়কের সৌন্দর্য উপভোগ করা শুরু করবেন জালিয়াপাড়া বাজারের পর থেকেই। পাহাড়ি রাস্তার প্রতিটি বাঁকে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগবে। যেমন রাস্তা, তেমনি চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ।
সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কটির পাশে রয়েছে ছোট ছোট মাচাং ঘর। পাহাড়ের ওপর মন্দির-বিহার। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সড়কের পাশে বসে পাহাড়ি নারীরা পিঠা বিক্রি করেন। তাদের কাছ থেকে পিঠা ছাড়াও পাওয়া যায় জুমে লাগানো টাটকা শাকসবজি ও বিভিন্ন ফল। সিন্দুকছড়ি সড়কের পাশেই রয়েছে ধুমনিঘাট ঝরনা। অনেক সময় ধুমনিঘাটের পাশের এলাকায় বন্য হাতির পাল দেখা যায়। তবে বর্ষাকালই হচ্ছে এই ঝরনা দেখার মোক্ষম সময়।
সিন্দুকছড়ি যাওয়ার উপায়
ঢাকার কলাবাগান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, আবদুল্লাহপুর অথবা গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্যামলী, হানিফ, সেন্ট মার্টিন, শান্তি পরিবহনসহ খাগড়াছড়িগামী অনেক বাস পেয়ে যাবেন। নন-এসি, এসি বাসে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। গুইমারা উপজেলায় জালিয়াপাড়া মোড়ে নেমে যাবেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে সিন্দুকছড়ি সড়ক ভ্রমণ করা যায়। অটোরিকশা ভাড়া পাওয়া যায় ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে। খাগড়াছড়ি সদর থেকে যাঁরা সড়কটি ঘুরতে যাবেন, তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইক না থাকলে শহর থেকে জিপ ভাড়া করা ভালো। না হলে অযথা বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। সিন্দুকছড়ি অত্যন্ত দুর্গম এলাকা হওয়ায় একা না গিয়ে দল বেঁধে ভ্রমণ করা উচিত।
থাকা-খাওয়া
মহালছড়ি কিংবা গুইমারা উপজেলায় থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। থাকতে হলে আপনাকে যেতে হবে জেলা শহর খাগড়াছড়িতে। শহরে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। খাওয়া-দাওয়ার জন্য মহালছড়ির ২৪ মাইল ও জালিয়াপাড়া এলাকায় বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। তবে খাগড়াছড়ি শহরে পানখাইয়াপাড়া, মহাজনপাড়া এলাকার কিছু রেস্তোরাঁয় গিয়ে নেওয়া যাবে পাহাড়ি খাবারের স্বাদ।