রংপুর শহর থেকে প্রায় ৩০ কিমি. দক্ষিণে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের লাগোয়া পূর্ব পাশে ছোট মীর্জাপুর (ইসমাইলপুর) নামক স্থানে ৫-৬ মিটার উঁচু একটি প্রাচীন ঢিবির ওপর বড় দরগাহ্ বা শাহ্ ইসমাইল গাজীর মাজার অবস্থিত। কথিত আছে, ১৪৭৪ খ্রিষ্টাব্দের দিকে গৌড়ের সুলতান রুকনুদ্দীন বারবক শাহ ঘোড়াঘাট দুর্গ অধিপতি ও সামন্ত রাজা ভান্দুসী রায়ের বিদ্বেষপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে সেনাপতি শাহ ইসমাইল গাজীর শিরশ্ছেদের আদেশ দেন এবং নিহত শাহ ইসমাইল গাজীর মুণ্ডহীন দেহ এখানে সমাহিত করা হয়।
পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা প্রায় ১৫ মিটার x ৯ মিটার আয়তনের তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ইমারতের মাঝের কক্ষে তাঁর পাকা কবরটি অবস্থিত। মূল্যবান রেশমবস্ত্র দ্বারা আবৃত কবরটিকে মোটেও প্রাচীন বলা যায় না। খুব সম্ভব প্রাচীন কবরটিকে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। জানা যায়, শাহ্ ইসমাইল গাজীর নামে রংপুর জেলায় ৪টি, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে একটি এবং হুগলী জেলার (ভারত) গড় মান্দারণে একটি মাজার আছে মর্মে জানা যায়।