পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
জমিদার যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রেয় প্রায় ১৯০০ শতকের প্রথম দিকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। তবে, এই জমিদার বংশের মূল গোড়াপত্তনকারী হচ্ছেন চাঁদীপ্রসাদ মৈত্রেয়। চাঁদীপ্রসাদ মৈত্রেয় সিরাজগঞ্জ জেলার শরতনগর এলাকার জমিদার ছিলেন। জমিদার চাঁদীপ্রসাদের জগন্নাথ মৈত্রেয় নামে এক পুত্র সন্তান ছিল। যিনি ছিলেন এই জমিদার বংশের দ্বিতীয় জমিদার। তার ঘরে আবার জন্ম নেন জমিদার লোকনাথ।
জমিদার লোকনাথের কোনো সন্তান ছিল না। তাই তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী চন্দ্রনাথ মৈত্রেয় নামে এক পুত্র সন্তান দত্তক নেন। এই চন্দ্রনাথ মৈত্রেয়ও নিঃসন্তান ছিলেন। তাই তিনিও যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রেয় নামে এক পুত্র সন্তানকে দত্তক নেন। তিনিই পরবর্তীতে তাদের জমিদারী বংশের পূর্ববর্তী জমিদারী এলাকা সিরাজগঞ্জ জেলার শরৎনগর ছেড়ে পাবনা জেলার শীতলাই নামক এলাকায় জমিদারী স্থানান্তর করেন এবং এখানে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন।
জমিদার বাড়িটি ইন্দো-ইউরোপিয়ান স্থাপত্যশৈলিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দুই তলাবিশিষ্ট। বাড়িটিতে মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও বাড়িটির পাশে বিশাল একটি দীঘি রয়েছে। যার চতুর্দিকে শান বাঁধানো ঘাট রয়েছে।
অধিকাংশ জমিদার বাড়িই অযত্ন ও অবহেলার কারণে ধ্বংস হয়ে গেলেও এই জমিদার বাড়িটি আজও খুব ভালো অবস্থায় আছে। কারণ এটি এখন একটি বাংলাদেশি ঔষুধ কোম্পানি এডরুক সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এখানে ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। তাই তাদের তত্ত্বাবধানে থাকাতে এটি এখনো বেশ ভালো অবস্থায় আছে।