পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
বাগধানী শাহী মসজিদের মেহেরাব তিনটি, দরজা তিনটি, দুটি জানালা ও একটি মিনার রয়েছে। চার কোনায় নকশাখচিত গম্বুজ আকৃতির মনোরম পিলার রয়েছে। এছাড়াও মসজিদের চারপাশের দেয়ালের ভেতর ও বাইরে চিনামাটিতে খচিত মনোরম নকশা রয়েছে। মসজিদের সদর দরজার শিলালিপিতে উল্লেখ আছে, মুন্সী মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ বাংলা ১২শ’ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন।
যখন নদীপথই ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম তখন এই মসজিদকে ঘিরে বারনই নদীর ঘাট ছিল। নদী তীরের এই ঘাট ঘেঁষে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসত। এটিই ছিল পবার সবচেয়ে পুরনো হাট। এখনো শুক্র ও মঙ্গলবার হাট বসে। তবে সেই জমজমাট অবস্থা আর নেই। ১৯৯০ সালে ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মসজিদের পাশে অবস্থিত কাচারি ঘরের ধ্বংসাবশেষ এখনো কালের সাক্ষী।
যেভাবে যাবেন
রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে নওহাটা পৌরসভার বাগধানী কাচারিপাড়ায় মসজিদটি অবস্থিত। যার একপাশ দিয়ে তানোর–রাজশাহী পাকা রাস্তা এবং অন্য পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বারনই নদী। নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে সংযোগ ব্রিজ। মসজিদ সংলগ্ন এলাকা সবুজায়নের শ্যামল প্রান্তর। রাজশাহী নগরীর রেলগেট থেকে তানোর রোডে মাত্র ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে যাওয়া যায় বাগধানী এলাকায়। এছাড়াও রাজশাহী–নওগাঁ মহাসড়কের নওহাটা ডিগ্রি কলেজ মোড়ে নেমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং নসিমনেও বাগধানী মসজিদে যাওয়া যায়।