পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
ইট দিয়ে বানানো মসজিদটি একটি নিচু জায়গায় অবস্থিত এবং দেখতে আয়তকার। মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে মোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে।পূর্ব পাশের প্রবেশ পথটি অন্যগুলোর চেয়ে কিছুটা বড় হওয়ায় এটি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। মসজিদের কিবলার দিকে তিনটি অর্ধ-অষ্টভুজ মিহরাব আছে। এর মধ্যে মাঝখানের মিহরাবটি বাইরের দিকে অভিক্ষিপ্ত এবং দুপ্রান্তে দুটি ছোট অষ্টভুজ বুরুজ রয়েছে।
ইটের তৈরি এই মসজিদকে খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক ভাগে একটি করে কন্দাকৃতির আকারের গম্বুজ রয়েছে।সুলতানি বৈশিষ্ট্যের পোড়ামাটির কাজ দিয়ে মসজিদটি সাজানো হয়েছে।প্রবেশপথের আয়তাকার অংশে প্যাঁচানো ফুলেল নকশা, গোলাপ নকশা, জালি নকশা প্রভৃতি মোটিফ সংবলিত পোড়ামাটির ফলক দিয়ে সাজানো হয়েছে।
প্রধান প্রবেশপথে যে শিলালিপিটি ছিল তা বর্তমানে হারিয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্য অনুসারে এটি মাসুম খানের কীর্তি বলে মনে করা হয়। এর নির্মাণরীতি দেখে মসজিদটিকে সতেরো শতকের শেষ ভাগের কোনো ইমারত বলে ধারণা করা হয়।