নিজস্ব প্রতিবেদন
আমরা কুয়াকাটায় পৌঁছানোর জন্য ঢাকার সদরঘাট থেকে একটি লঞ্চে করে পটুয়াখালী চলে গিয়েছিলাম। লঞ্চ যাত্রা ছিল মজাদার এবং রাতের আঁধারে নদীর বুকে চলার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। পটুয়াখালী পৌঁছে সেখান থেকে বাসে করে কুয়াকাটা যাই।
কুয়াকাটা পৌঁছে প্রথমেই আমরা হোটেলে উঠলাম। সৈকতের খুব কাছেই আমাদের হোটেল ছিল, তাই সকালে সূর্যোদয় দেখার সুযোগ মিস করতে চাইনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে সৈকতে গিয়ে সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য দেখে মন ভরে গেল। সোনালী আলোয় সমুদ্রের ঢেউগুলো যেন আরও বেশি সুন্দর লাগছিল।
সারাদিন সৈকতে কাটানোর সময় আমরা নানা ধরনের সামুদ্রিক খাবার খেয়েছি। কুয়াকাটার খেজুরের রস ও নারকেলের পানি বেশ বিখ্যাত, তাই এগুলোও মিস করিনি। সেখানকার স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক শোপিস ও স্মৃতিচিহ্ন পাওয়া যায়, যা কিনে আমরা নিজেদের জন্য এবং প্রিয়জনদের জন্য কিছু উপহার সংগ্রহ করেছিলাম।
বিকেলে আমরা বৌদ্ধ মন্দির ও রাখাইন পল্লী পরিদর্শন করেছি। সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে জেনে বেশ ভালো লেগেছিল। রাখাইনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের জীবনযাত্রা ও তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
কুয়াকাটার আরেকটি প্রধান আকর্ষণ হল গঙ্গামতীর চর। সেখানে আমরা নৌকায় চড়ে গিয়েছিলাম এবং চর থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখেছিলাম। সূর্য যখন ধীরে ধীরে সাগরের জলে ডুবে যাচ্ছিল, সেই দৃশ্য ছিল সত্যিই অপূর্ব।
আমাদের এই ভ্রমণ ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু খুবই স্মরণীয়। কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং অতিথিপরায়ণ মানুষগুলো আমাদের মুগ্ধ করেছে। এমন একটি স্থানে আবারও ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়ে গেল মনে।