নিজস্ব প্রতিবেদন
জাদুঘরে প্রবেশের আগে, বাইরের অংশের সুন্দর বাগান চোখে পড়ে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং গাছের সমারোহ মনোমুগ্ধকর। এই বাগানে বসে কিছু সময় কাটানো একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা, যা ভ্রমণের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয়। জাদুঘরের ভেতরে ঢুকলে একটি শীতল ও শান্ত পরিবেশ পাওয়া যায়, যেখানে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্মের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। গাইডেড ট্যুরের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি ও প্রদর্শনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। জাদুঘরের বাইরের অংশে একটি সুন্দর বাগান রয়েছে, যেখানে নানা ধরনের ফুল ও গাছ লাগানো হয়েছে। দর্শনার্থীরা এখানে বসে বিশ্রাম নিতে পারেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
প্রদর্শনী এবং গ্যালারিঃ জাদুঘরের মূল ভবনে ঢুকে প্রথমেই যেটা নজর কাড়ে, তা হলো বিভিন্ন গ্যালারিতে সাজানো অসংখ্য শিল্পকর্ম। প্রতিটি গ্যালারিতে বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের লোকশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন দেখা যায়। জামদানি শাড়ি, নকশী কাঁথা, মসলিন কাপড়, মাটির পাত্র, কাঠের কারুকাজ, এবং নানা ধরনের হস্তশিল্পের সংগ্রহ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
ইতিহাসের সাক্ষীঃ জাদুঘরের একটি বিশেষ অংশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ছবি, পোস্টার, এবং অন্যান্য স্মারক রাখা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচিত করে।
লোকশিল্প ও কারুশিল্পঃ জাদুঘরের একটি বড় আকর্ষণ হলো হস্তশিল্প ও কারুশিল্পের প্রদর্শনী। এখানে মাটির পাত্র, বাঁশ ও বেতের তৈজস, পাটের তৈরি পণ্য, এবং বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি সামগ্রী প্রদর্শিত হয়েছে। এগুলো দেশের গ্রামীণ জীবনের অংশ এবং এখনও অনেক এলাকায় ব্যবহার হয়।
জাদুঘর থেকে বের হওয়ার আগে স্যুভেনির শপে ঢুঁ মারা যায়। এখানে জাদুঘরে প্রদর্শিত বিভিন্ন শিল্পকর্মের ছোট ছোট রেপ্লিকা পাওয়া যায়, যা স্মৃতি হিসেবে সাথে নিয়ে যাওয়া যায়। সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ভ্রমণ শুধু শিক্ষামূলক নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সাথে ভ্রমণকারীদের আরও ঘনিষ্ঠ করে।