পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
গত ৮ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হলো এর প্রথম প্রদর্শনী। বিকাল ৪টায় শুরু হয় প্রিমিয়ার শো।
ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লীলাবতী নাগের সমগ্র কাজ উঠে এসেছে তথ্যচিত্রে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হওয়ার পেছনের সংগ্রাম, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লব, নারী জাগরণে সংগঠন ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠা, নারীদের কর্মমুখী হয়ে ওঠায় তার অবদান উঠে এসেছে এলিজার বয়ানে। লীলাবতী নাগের গড়ে তোলা দীপালি সংঘ তৎকালীন ভারতবর্ষের অন্যতম শক্তিশালী একটি সংগঠন ছিল। স্বামী অনিল রায় ও লীলা নাগ মিলে প্রায় ১২টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। জয়শ্রী নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন লীলা নাগ, যা চালাতেন নারীরা। এই পত্রিকা ও প্রকাশনের নাম দিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এমন একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে খুব একটা চর্চা হয় না বাংলাদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গের কোথাও। তাকে নিয়ে কিছু বই ও সাময়িকী থাকলেও পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র এটিই প্রথম। প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক, অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসীন মুরাদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে তথ্যচিত্রটির প্রযোজক এলিজা বলেন, প্রথম যখন লীলাবতী নাগ সম্পর্কে জানতে পারি, জানার ইচ্ছা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু, দেখলাম তাকে নিয়ে কোথাও কোনো আলোচনা নেই। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, তথ্যচিত্রটি বানাব। তিনি নারীদের এগিয়ে যাবার পথটা সহজ করে দিতে অনেক সংগ্রাম করেছেন বলেই একজন নারী হয়েও আমি আজ কিছু করার সাহস পাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা সবাই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এক ঘণ্টা ছয় মিনিটের এই তথ্যচিত্রটিকে। তথ্যচিত্রের সমৃদ্ধ গবেষণা তরুণ প্রজন্মকে লীলা নাগ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে বলে আলোচকরা মনে করেন।
পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন