ভারি বর্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ধসে রাস্তাঘাটে চলাচলে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এমন পরিস্থিতিতে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়ছে তিন শতাধিক পর্যটক। তবে আটকেপড়া পর্যটকদের রুম ভাড়া ৫০ ভাগ ছাড় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ধসে রাস্তাঘাটে চলাচলে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সাজেকে তিনশ’র বেশি পর্যটক আটকা পড়ে আছেন। তবে সবাই নিরাপদেই আছেন।
তিনি আরও বলেন, সাজেকে ২০টি মোটরসাইকেল, ২০টি জিপ, চারটি মাহেন্দ্র ও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার আটকা রয়েছে।
সাজেকের স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলমান অতি ভারি বর্ষণের ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কার্লভাট ডুবে গেছে। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল সাময়িক বন্ধ আছে। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, তাই সাজেকে যাতায়াতের পথও সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
পর্যটকরা জানান, ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলে নেটওয়ার্কের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সারাদিন রুমেই সময় কাটছে।
সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, ‘দীঘিনালা-বাঘাইহাট সড়ক বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা গন্তব্যস্থলে ফিরতে পারেননি। নতুন কোনো পর্যটকও আসেননি।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সহসভাপতি জয় মারমা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাজেক থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি এবং বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করেনি। তাই পর্যটকরা সাজেকে অবস্থান করছেন। যেহেতু তারা আটকা পড়েছেন তাই সমিতির পক্ষ থেকে সবার রুমভাড়া ৫০ ভাগ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের মঙ্গলবারের জন্য অগ্রিম বুকিং ছিল তাদের টাকাও রিটার্ন করার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। অগ্রিম বুকিং করা কোনো পর্যটক যদি পরবর্তীতে আসতে চান তাহলে আমরা সেটা সমন্বয় করে দেব।