টানা বৃষ্টিপাত ও কয়েক ফুট উঁচু জোয়ারের পানিতে গত পাঁচদিন ধরে দিনে দুবার করে ডুবছে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পানিতে সুন্দরবনের করমজল, জামতলা, হিরনপয়েন্ট, দুবলারচর, আলীবান্দা, আন্ধারমানিকসহ অধিকাংশ এলাকা দিনে দুবার করে ডুবছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। করমজলে কুমির, কচ্ছপ, হরিণ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণী নিরাপদে রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজ আল আসাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পানিতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত দুই সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার মোংলা পৌরসভা, মোরেলগঞ্জ পৌরসভা ও বাগেরহাট পৌরসভার কিছু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া, খাউলিয়া, পুটিখালী, তেলিগাতি, হোগড়লাপাশা, কচুয়ার রাড়িপাড়া, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা, ডেমা, কাড়াপাড়া, মোংলার সুন্দরবন, জয়মনির ঘোল, চিলা, রামপালের হুড়কা, বাসতলী, শরণখোলার সাউথাখালী ও রায়েন্দা ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু মাছের ঘেরও ডুবে যাওয়ার খবর রয়েছে।
সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য দেখতে দেশ–বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা। তবে চলতি বছরের ১ জুন থেকে সুন্দরবনে তিন মাসের জন্য পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা, বন্য প্রাণী এবং নদী–খালের মাছের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।