ভিসার জন্য ফি বাড়ছে ব্রিটেনে। হেলথ সারচার্জসহ প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হবে। মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বগতির মুখে সরকারি খাতে ক্রমবর্ধমান বেতন বৃদ্ধির চাহিদার জোগান দিতেই ভিসা ও সারচার্জ বাড়ানো হচ্ছে। ফি এক হাজার পাউন্ডের বেশি বাড়ানো হবে।
ব্রিটেনে বাড়লেও উল্টোটা ঘটছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশের ক্ষেত্রে কিউ-কোড পূরণ ও কোয়ারেন্টাইন নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। যা শনিবার থেকে কার্যকর করা হয়। খবর সিএনএন, দ্য ইনডেপেন্ডেন্ট ইউকে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ব্রিটেনের সরকারি খাতে বেতন-ভাতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাড়তি অর্থের জোগান দিতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনে ২০১৫ সালে হেলথ সারচার্জ ফি জনপ্রতি ছিল ২০০ পাউন্ড। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ফি বাড়িয়ে ৪০০ পাউন্ড করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ফি আরেক দফায় বাড়ানো হয়। যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৬২৪ পাউন্ড, শিক্ষার্থী ও শিশুদের জন্য ৪৭০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়। এ বছর এসে আবারও বাড়ানো হচ্ছে ফি। আবেদনের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের দিতে হবে ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড। শিক্ষার্থী ও শিশুদের দিতে হবে ৭৭৬ পাউন্ড। মার্কিন ভিসার ফিও বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্যও।
অপরদিকে ভিসা ফি শিথিল করছে দক্ষিণ কোরিয়া। মাঙ্কি পক্স ও করোনা মহামারিতে লোকসংখ্যা কমে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। তবে ভ্রমণকারীদের রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে তা শনাক্ত করার প্রক্রিয়া আগের মতোই অব্যাহত থাকবে।
দেশটির সরকার জানায়, ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকা দেশ উগান্ডা ও কঙ্গো, চীন ও কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে এভিএন ইনফ্লুয়েঞ্জা, মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশে মার্স, কলেরা রোগের জন্য ভারত, ফিলিপাইনসহ আরও ২৬টি দেশের বেলায় আগের নিয়ম বহাল থাকবে। তবে যেসব দেশে এখন পর্র্যন্ত ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে (উগান্ডা এবং কঙ্গো) তাদের ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বহাল থাকবে।
এছাড়া চীন ও কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে এভিএন ইনফ্লুয়েঞ্জা, মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশে মার্স, কলেরা রোগের জন্য ভারত, ফিলিপাইনসহ আরও ২৬টি দেশের ক্ষেত্রেও আগের নিয়ম অব্যাহত থাকবে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।