■ পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
ব্যবসা কিংবা বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিদেশগামীদের ভ্রমণ পরিকল্পনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হলে ভিসার অপব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বৈশ্বিক ভ্রমণের দুয়ার ধীরে ধীরে আরো সংকুচিত হয়ে পড়বে।
জানা যায়, গত বছরের জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে ভারতের ভ্রমণ ভিসা। ফলে চিকিৎসার জন্য যারা প্রতিবেশী দেশটির ওপর ভরসা করতেন, তাদের জন্য বিকল্প গন্তব্য হয়ে উঠেছিল থাইল্যান্ড। তবে দেশটিতে ভিসা পেতে এখন কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় লাগছে। আরব আমিরাতেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। গত আগস্টের পর থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য দেশটির ভিসা অনানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ; যদিও দিনে ৩০ থেকে ৫০টি ভিসা দেওয়া হচ্ছে, তা মূলত ব্যবসা বা অন্য ভিসা ক্যাটাগরিতে, সাধারণ পর্যটকদের জন্য নয়।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, পর্যটক ভিসার শর্ত লঙ্ঘন বা অপব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কিছু দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। আবেদনপত্রে তথ্য-উপাত্ত ও নথি জালিয়াতির আশঙ্কায় পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভিয়েতনাম বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় আগে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা থাকলেও এখন সেটিও বিলম্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের এখন এই ভিসা পেতে দুই মাসেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা ফিলিপিন্সেও। আগে যেখানে ১০ দিনের মধ্যে ভিসা মিলত, এখন তা পেতে দেড় মাস সময় লাগছে। এ ছাড়া উজবেকিস্তান ও মিসরের ভিসাও বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ থাকার কারণে আমাদের ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী কম থাকে। এর ফলে এয়ারলাইনসগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া যারা বৈধভাবে ব্যবসার কাজে কিংবা পর্যটনের কাজে যাচ্ছেন, তারাও যেতে পারছেন না। এই ক্ষতি পোষাতে সরকারকেই ভূমিকা রাখতে হবে।