অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনি ও ক্যানবেরাতে বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম চালু হচ্ছে। রোববার (২৮ মে) সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের বন্দোবস্তের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে একটি দল সিডনি পৌঁছেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে সিডনি পৌঁছেছেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
ক্যানবেরাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনেও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। সিডনিতে যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর বাংলাদেশি দলটি ক্যানবেরায় পৌঁছাবে। তাই হাইকমিশনে পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণের কাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে।
সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয় থেকে বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট নিতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য সাধারণ নিয়মে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তবে সেখানে আবেদনকারীর অবস্থান এবং পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানায় সিডনি ব্যবহার করতে হবে।
সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তাদের ই-পাসপোর্ট হুবহু এর আদলেই করতে হবে। তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন থাকলে সেটা আগে জাতীয় পরিচয়পত্রে করতে হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল জন্মসনদ দিয়েও ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে।
কারো ডিজিটাল জন্মসনদ না থাকলে তা কনস্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে করিয়ে নেওয়া যাবে। যাদের এমআরপি পাসপোর্ট রয়েছে, তাদের ই-পাসপোর্ট নবায়ন বলে গণ্য হবে। আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সশরীর অথবা পোস্টে কনস্যুলেট জেনারেলে নিয়ে যেতে হবে।
সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পরপর সবকিছু প্রক্রিয়াজাত করতে কিছুটা সময় লাগবে। তাই প্রথম দিকের আবেদনগুলোর কাজ কিছুটা ধীরগতির হতে পারে।
তবে সব তথ্য ও কাগজপত্র ঠিক থাকলে ১৪ কর্মদিবসের মধ্যেই অতি জরুরি ই-পাসপোর্ট প্রবাসীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।