পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখ এলো। সবে তো গ্রীষ্মকালের শুরু। গরমে প্রাণ-মন-শরীর যেন অস্থির হয়ে ওঠে। অ্যাকুরিয়ামে সাঁতার কাটা মাছগুলোকে দেখে মনে হয়, ওরাই বেশ আছে। ইচ্ছে করে ওরকম গা ডুবিয়ে পরম শান্তি পেতে। আর এমন পরিবেশ পেতে পারেন পাঁচতারকা হোটেল শেরটানের রুফটপ সুইমিং পুলে।
অপূর্ব দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে করতে সুইমিংপুলের পানিতে গা এলিয়ে উপভোগ করতে পারেন অন্যরকম আমেজ। শান্তি আর স্বস্তির মিশেলে চলে যাবেন অন্য এক জগতে। আর যারা সাঁতার জানেন না, তাদের জন্য আছে প্রশিক্ষকসহ সাঁতার শেখার ব্যবস্থা। প্রতি শুক্র ও শনিবারে পুরুষ ও নারী প্রশিক্ষকের তত্ত্ববধানে যারা সাঁতার শিখতে চান, তারা এই পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সুবিধা নিতে পারেন। ৬ থেকে ১২, ১২ থেকে ২৫, ২৫ থেকে ৪৯ এরকম নানা বয়সের ভিত্তিতে এই সুবিধা নেয়া যাবে। তাপনিয়ন্ত্রিত এসব সুইমিংপুলে যে কোনো ঋতুতেই আরামদায়ক অনুভূতি অনুভব করা যাবে।
নয়নাভিরাম হোটেলটি সবার নজর কাড়ে সহজেই। স্থাপনার দিক থেকেও এটি স্বতন্ত্র। নির্মাণশৈলী ও স্থাপত্যবিদ্যার কারিগরিতে হোটেলটি যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনই আরামপ্রদ। অবস্থানের দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা এখন নতুন সাজে যেখানে সাজছে, সেই বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে হোটেল শেরাটনের অবস্থান। শেরাটনের আভিজাত্য আর ঐতিহ্য যেন এখানে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছুর সঙ্গে মিলেমিশে উজ্জ্বল উদাহরণের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
ঢাকায় শেরাটন নতুন সাজে স্থাপন করা হয়েছে বনানীতে। ইউনিক গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর যত্ন ও তত্ত্বাবধানেই এটি সম্ভব হয়েছে। উনার তত্ত্বাবধানে হোটেল ওয়েস্টিনও পরিচালিত হচ্ছে। এসবের ধারাবাহিকতা বহন করছে আন্তর্জাতিক চেইন ‘ম্যারিয়েট ইন্টারন্যাশনাল’।
এখানে আছে ২৪৮টি আবাসিক রুম যা সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রত্যেকটি রুমই বিলাসবহুল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিভিশনে বিশ্বের সেরা চ্যানেলের সংযোগ, ব্যবসায়িক লেনদেনের সুব্যবস্থা রয়েছে গোছানোভাবে। এছাড়া রয়েছে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রেন্ট-এ-কার, কুরিয়ার সার্ভিস, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা ব্যবস্থা, ফ্রি পার্কিং। রয়েছে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুযোগ। বিভিন্ন ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনে রয়েছে নানারকম সেবা গ্রহণের সুবিধা।
হোটেলের বিজনেস সেন্টারে সেক্রেটারিয়াল কাজে সহযোগিতার জন্য রয়েছে টেলেক্স, ইমেইল, ফ্যাক্স, কম্পোজ, ফটোকপি এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং সুবিধা। এছাড়া বিজনেস সেন্টারে মিটিং করার জন্য সুযোগও রয়েছে। মিটিং প্লেসগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে সেগুলো চমৎকারভাবে উপযোগী।
প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা টি লাউঞ্জটিও কাছে টানবে। হালকা খাবার ও কফির সুবাস পাবেন এখানে। রয়েছে আলাদা চারটি রেস্টুরেন্ট ও বার। রুফটপে সুইমিংপুলের কাছেই রয়েছে স্পেশাল জাপানিজ রেস্টুরেন্ট। যেখানে জাপানি ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করেন জাপানিজ শেফ। লবি লেভেল ৯-এ আছে কফি শপ। লেভেল ফোরটিনে আছে গার্ডেন কিচেন রেস্টুরেন্ট। ১৮টি ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করে এখানে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি’ সেবা উপভোগ করা যাবে। ৭৪১ স্কয়ার মিটারের ‘পিলারলেস’ গ্রান্ড বল রুমটি খুবই আকর্ষণীয়। ১৮টি আলাদা মিটিং প্লেসগুলো নানা কাজে ব্যবহার করা যায়। আছে ব্রাউডাল স্যুট, ফিটনেস সেন্টার ও স্পা।
হোটেল শেরাটন- এই নামটিই যেন অন্যরকম এক আবেদন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অতিথিদের জন্য। ঐতিহ্যবাহী এই পাঁচতারকায় আমন্ত্রণ জানাই। আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন এই (+৮৮ ০২ ৫৫৬৬৮১১১) নাম্বারে।