পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশের সড়ক ধরে কিছু দূর সামনে গেলে পড়বে শ্রীশ দাস লেন। এ লেনে ঢুকতেই চোখে পড়ে একটি জমিদার বাড়ি। এর পাশেই দোতলা একটি বাড়ি। বাড়ির লোহার ছোট্ট গেট পেরোলেই ফুলের বাগান। বাগানের মাঝখানে দুর্বাঘাসে মোড়ানো ফাঁকা জায়গায় আড্ডা দেয়ার স্থান। এখান থেকেই মোড় ঘুরে গিয়েছিল একটি দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির। আড্ডাবাজ একদল মানুষের হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল অন্য এক জাতিসত্ত্বা। কবি-সাহিত্যিকদের কাছে পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং ছিল আড্ডার কেন্দ্রস্থল। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্রকারদের অবাধ বিচরণ ও আড্ডার প্রাণকেন্দ্র ছিল এই বিউটি বোর্ডিং। প্রাচীন আমলের গাঁথুনি মুহূর্তেই যে কাউকে নিয়ে যাবে একশ বছর পেছনে। বোর্ডিং কম্পাউন্ডের মাঝখানে প্রশস্ত উঠান। ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা। বেশ আড্ডার জায়গা। পাশে খাবার ঘরের দেয়ালে টাঙানো আছে প্রাচীন আড্ডার কয়েকটি ছবি। এরপর শোবার ঘর, পেছনে সিঁড়িঘর- সবই গল্পের বইয়ে লেখা প্রাচীন জমিদার বাড়ির বর্ণনার মতো। প্রসারিত উঠানের মাঝে ফুলবাগান আর এক কোনায় শামসুর রহমান স্মৃতিফলক যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। একটু সামনে এগোলেই দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধের ১৭ জন শহীদের নামফলক। এতে করে আনন্দের উদ্বেলতায় মুহূর্তেই নীরবতা নেমে আসবে। শোকের পরিবেশে শ্রদ্ধা আর আবেগে মুক্তিযুদ্ধের ক্যানভাস চিত্রিত হবে আগতদের মানসপটে। শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির একসময়ের মিলনক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে হারিয়ে যাবেন দর্শনার্থীরা। এটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানই নয়, প্রযুক্তির এ সময় বুড়িগঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা নস্টালজিয়ার এক ঐতিহাসিক স্থাপনা। নান্দনিক সৌন্দর্যের স্থাপনা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে এর জৌলুস। জন্মলগ্ন থেকেই এখানে আড্ডা দিতেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, চিত্রপরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এক সময় প্রমত্তা বুড়িগঙ্গার ভরা যৌবনের মতোই বর্ণাঢ্য ছিল বিউটি বোর্ডিংয়ের সেই দিনগুলো। বুড়িগঙ্গার তীরে জাহাজের হুইসেলের ধ্বনি আর নদীর কলকল শব্দে কবি-সাহিত্যিকদের কলম থেকে বের হতো সৃজনশীলতা। আজ বুড়িগঙ্গা হারিয়েছে তার স্রোত আর বিউটি বোর্ডিংও হারিয়েছে এর জৌলুস। নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের কাছে খুব চেনাজানা না হলেও বোদ্ধামহল ও সুধীজনের কাছে এর কদর একটুও কমেনি। যার কারণে এখনো একটু সময় পেলেই অনেকেই এখানে ছুটে আসেন। মূলত চল্লিশের দশকেই পুরান ঢাকায় খ্যাতি লাভ করে বিউটি বোর্ডিং।
বিউটি বোর্ডিংয়ের আড্ডা আগের মতো না থাকলেও খাবার ঘরে এখনো ভোজনরসিকদের ভিড় লেগেই থাকে। নগরের ভোজনরসিকরা এখানে ছুটে আসেন। ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভোজনরসিকদের আজও এখানে স্টিলের থালায় ও গ্লাসে খাবার ও পানি পরিবেশন করা হয়। সকালে নাস্তা, দুপুরে ভাত, বিকালে সুস্বাদু লুচি ও রাতেও রয়েছে খাবারের ব্যবস্থা। বিউটি বোর্ডিংয়ে বিভিন্ন রকমের সবজি বিক্রি হয়। এখানে প্রতিদিনকার মেন্যুতে থাকে বেগুনভাজি, করলাভাজি, কচুশাক, লালশাক, কলাভর্তা, শিমভর্তা আর ধনেপাতাভর্তা। সকালে এক সময় আটার রুটির রেওয়াজ ছিল। এখন সকালের রুটির জায়গা নিয়েছে ভাত, আলুভর্তা, ডিমভাজি আর ডাল। রাতের রান্না সীমিত আকারের। এক পদের মাছ, সবজি আর ডাল। তবে দধি এখানে তিন বেলাই পাওয়া যায়। বিউটি বোর্ডিংয়ের দধির খুব চাহিদা। সব খাবারই বেশ তৃপ্তিদায়ক। বিউটি বোর্ডিংয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে কক্ষ রয়েছে ২৫টি। একমাত্র বড় রুমের ভাড়া এক হাজার ২০০ টাকা আর সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। স্বল্প খরচে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এখানকার বেশির ভাগ কক্ষই খালি থাকে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সময়ের পরিক্রমায় নতুন নতুন সাজে সজ্জিত হচ্ছে তিলোত্তমা রাজধানী ঢাকা। কিন্তু ঢাকা তথা বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিউটি বোর্ডিং যেন আধুনিকতার উত্থানে পিছিয়ে পড়া এক ঐতিহ্য।
বিউটি বোর্ডিংয়ের ইতিহাস
১৯৪৯ সালের শেষের দিকে প্রহ্লাদ সাহা ও তার ভাই নলিনী মোহন সাহা তৎকালীন জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ১১ কাঠা জমি নিয়ে সেখানে নির্মাণ করেন এই বিউটি বোর্ডিং। বিউটি বোর্ডিং বাড়িটি ছিল নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্বে সেখানে ছিল সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস। কবি শামসুর রহমানের প্রথম কবিতা মুদ্রিত হয়েছিল এ পত্রিকায়। দেশ ভাগের সময় পত্রিকা অফিসটি কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। এরপর ১৯৪৯ সালে দুই ভাই প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন সাহা এ বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেন বিউটি বোর্ডিং। বাড়িটি ১১ কাঠা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। নলিনী মোহনের বড় মেয়ে বিউটির নামেই এর নামকরণ করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিউটি বোর্ডিংয়ে পাকিসন্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহাসহ ১৭ জন। পরবর্তীতে প্রহ্লাদ চন্দ্রের পরিবার ভারত চলে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে প্রহ্লাদ চন্দ্রের স্ত্রী শ্রীমতী প্রতিভা সাহা দুই ছেলে সমর সাহা ও তারক সাহাকে নিয়ে বিউটি বোর্ডিং আবার চালু করেন। তখনকার সাহিত্য আড্ডার জন্য অনেক স্থান থাকলেও সবার পছন্দের জায়গা ছিল এ বিউটি বোর্ডিং। এখানে আড্ডা দিয়েছেন এ দেশের বিখ্যাত সব কবি-সাহিত্যিক, চিত্রপরিচালক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার কিংবদন্তিরা। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এ ঐতিহাসিক স্থানে এসেছিলেন নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু ও পল্লীকবি জসিমউদ্দীন।
আন্দোলনের ইতিহাস
মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র ছিল পুরান ঢাকা। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ, কায়েদে আজম কলেজ, বিউটি বোর্ডিং ছিল বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণে। ষাটের দশকের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এ বিউটি বোর্ডিং থেকেই শুরু হয়। ৬২, ৬৯ ও ৭০-এর নির্বাচনের ইতিহাস পুরান ঢাকা ও বিউটি বোর্ডিংয়ের সঙ্গে জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭০-এর নির্বাচনে এ আসন থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখান থেকেই ষাটের দশকের আন্দোলনের পরামর্শ হতো। সেসময় দলমত নির্বিশেষে সবাই পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। জগন্নাথ কলেজ ছিল স্বাধীনতার আঁতুড়ঘর। সেসময়কার সবার দেশপ্রেম ছিল এমন যে, সবাই একেক জন সূর্যসেন ও প্রীতিলতা। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম গুলি ছোড়া হয় পুরান ঢাকা থেকে। এই যে বিউটি বোর্ডিং এখানকার অবদান কম নয়। এ জায়গাটা ছিল নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
যাদের পদভারে মুখরিত ছিল
বিউটি বোর্ডংয়ের জন্মলগ্ন থেকেই এখানে আড্ডা দিতেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, চিত্রপরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ। এখানে যারা আড্ডার আসরে আসতেন এদের মধ্যে কবি শামসুর রহমান, রণেশ দাশগুপ্ত, ফজলে লোহানী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, ব্রজেন দাস, হামিদুর রহমান, বিপ্লব দাশ, আবুল হাসান, মহাদেব সাহা, আহমেদ ছফা, হায়াৎ মাহমুদ, সত্য সাহা, এনায়েত উল্লাহ খান, আল মাহমুদ, আল মুজাহিদী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, ড. মুনতাসীর মামুন, ফতেহ লোহানী, জহির রায়হান, খান আতা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, নির্মল সেন, ফয়েজ আহমদ, গোলাম মুস্তাফা, খালেদ চৌধুরী, সমর দাস, ফজল শাহাবুদ্দিন, সন্তোষ গুপ্ত, আনিসুজ্জামান, নির্মলেন্দু গুণ, বেলাল চৌধুরী, শহীদ কাদরী, ইমরুল চৌধুরী, সাদেক খান, ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, শফিক রেহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আসাদ চৌধুরী, সিকদার আমিনুর হক, জুয়েল আইচ প্রমুখ।
চলচ্চিত্র শিল্পের কিংবদন্তি আব্দুল জব্বার খান বিউটি বোর্ডিংয়ে বসেই লেখেন বাংলার প্রথম সবাক ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’র চিত্রনাট্য। প্রখ্যাত সুরকার সমর দাস বহু কালজয়ী বাংলা গানের সুর সৃষ্টি করেছিলেন এখানে আড্ডা দেওয়ার ফাঁকে। বুলবুল চৌধুরী তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অতলের কথকতা’য় তার বন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন, ‘কায়েস আহমেদই আমাকে নিয়ে গিয়েছিল বিউটি বোর্ডিংয়ে জড়ো হওয়া কয়েকজন তরুণ সাহিত্যিকের সামনে। বিউটি বোর্ডিংয়ে সমবেত হতে পারার মাধ্যমে দেশের অনেক নবীন-প্রবীণ সাহিত্যিকের কাছাকাছি হতে পেরেছিলাম।’ ১৯৫৭ সালে কবি ফজল শাহাবুদ্দিন এখান থেকেই প্রকাশ করেন সাহিত্য পত্রিকা ‘কবিকণ্ঠ’, ১৯৫৯ সালে আহমদ ছফার সাহিত্য পত্রিকা ‘স্বদেশ’র উত্থানও এ বিউটি বোর্ডিং থেকেই। জাদুকর জুয়েল আইচের সূচনাও এখানেই। আর সুরকার সমর দাস বহু গানের সুর তৈরি করেছেন এখানে বসে। এ বিউটি বোর্ডিং নিয়েই শামসুর রাহমান লিখেছেন ‘মনে পড়ে একদা যেতাম প্রত্যহ দুবেলা বাংলাবাজারের শীর্ণ গলির ভেতরে সেই বিউটি বোর্ডিংয়ে পরস্পর মুখ দেখার আশায় আমরা কজন’। ১৯৫৭ সাল থেকে ৬২ সাল পর্যন্ত এখানে বসেই লেখালেখি করতেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। বরেণ্যদের কাছে আজ এটি একটি স্মৃতির পটে আঁকা এক চিত্রকল্প, এক কষ্টের হাহাকার। ঐতিহ্য ঠিকই আছে, এখনই ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে জানান দিচ্ছে নিজের উপস্থিতি। কালের বিবর্তনে স্বর্ণালি সময়গুলো এখন কেবলই ইতিহাস।
বিউটি বোর্ডিং সম্মাননা
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ’৭১ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, রাজনীতিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল বিউটি বোর্ডিং। এরপর ১৯৭১ সালের উত্তাল সেই দিনগুলোর ২৮ মার্চ ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে খুন করার পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। স্বাধীনতার পর নতুন করে যাত্রা শুরু করলেও স্বর্ণালি দিন আর ফিরে আসেনি। এরপর ১৯৯৫ সালে সাবেক বিউটিয়ানদের নিয়ে গঠিত হয় বিউটি বোর্ডিং সুধী ট্রাস্ট। আর ২০০৩ সালে কবি ইমরুল চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও সদ্যপ্রয়াত তারক সাহাকে সদস্য সচিব করে ৬০ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। আর এ ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ২০০৫ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে ‘বিউটি বোর্ডিং সম্মাননা’। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে।
স্মৃতি রোমন্থনে মিলনমেলা
কাশনী ও ছাপাখানার বদৌলতে বইয়ের জগৎ পুরান ঢাকার বাংলাবাজার। শ্রীশ দাস লেনের বাংলাবাজারের পাশে অবস্থিত বিউটি বোর্ডিং। বই প্রকাশ ও বই সংগ্রহের কারণে কবি-সাহিত্যিকদের আসা যাওয়া হতো বাংলাবাজারে। দেশ-বিভাগের পূর্বে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস বর্তমান বিউটি বোর্ডিংয়ে ছিল কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাস্থল। ষাটের দশকের বাংলা কবি-সাহিত্যিকদের জাগরণে বিউটি বোর্ডিং ছিল প্রাণবন্ত। তৎকালীন দেশের প্রেক্ষাপটে তারা রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচনা করতেন কবিতা, নাটক, গল্প ও উপন্যাস। সাহিত্যের সঙ্গে রাজনীতির সংযোগে বিউটি বোর্ডিংয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আসা যাওয়া ছিল। ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ বিরোধী আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ছিল পুরান ঢাকার এ বিউটি বোর্ডিং। প্রতিবছরই ৬০ দশকের কবি-সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় পরিণত হয় বিউটি বোর্ডিং। ঢাকা শহরের ষাটের দশকের একাত্তরের বিপ্লবী সতীর্থদের মিলনমেলার আয়োজক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ফিরোজ কবির মুকুল। সবাই স্মৃতি রোমন্থনে ফিরে যান ৬০-এর দশকে।
আহসান জোবায়ের