পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
ইতিমধ্যে কক্সবাজারের ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট সমূহের কক্ষ অগ্রিম বুকিং হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত তারকামানের অনেক হোটেলের রুম বুকিং হয়েছে শতভাগ। অন্যান্য আবাসিক প্রতিষ্ঠানেও ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ বুকিং এর তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, এই ৫ দিন গড়ে দেড় লাখ করে সাড়ে ৭ লাখ পর্যটক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তারা। ইতিমধ্যে হোটেল মোটেল রিসোর্ট, রেস্তোরা থেকে শুরু করে বার্মিজ পণ্যের দোকান সবখানে শেষ হয়েছে মেরামত কিংবা সাজসজ্জার কাজ।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এবারের ঈদের ছুটিতে ১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটক থাকবে। যারা ইতিমধ্যে বুকিং দেওয়া শুরু করেছে। এতে ৫ দিনে সাড়ে ৭ লাখের কম-বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটিতে ৭ থেকে ৮ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি হোটেল–মোটল, রেস্তোরাঁ এবং যানবাহনে যাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চুরি-ছিনতাই রোধে শহরের অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি যানজটের নিরসন এবং পর্যটকের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রস্তুত পুলিশ।