পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
৫ একর এলাকা জুড়ে নির্মিত বিশাল প্রাসাদের বাইরে দিঘি, মন্দির, স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়, ১৬ চাকার রথসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিদ্যমান ছিল। রোমান স্টাইলের বড় বড় পিলার সজ্জিত দুবলহাটি রাজপ্রাসাদে সাড়ে তিনশ কক্ষ ছিল, যার মধ্যে ছিল ৭টি আঙিনা। প্রাসাদের ভেতর কোনোটি ৩ তলা আবার কোনোটি ছিল ৪ তলা ভবন।
এছাড়াও একটি গোল্ডেন- সিলভার ও একটি আইভরির তৈরি সিংহাসন ছিল। ব্রিটিশরা সিংহাসন দুটি নিয়ে যায়। ১৮৬৪ সালে রাজ পরিবারের উদ্যোগে একটি স্কুল স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে স্কুলটির নামকরণ হয় রাজা হরনাথ উচ্চ বিদ্যালয়।
কথিত আছে, জনৈক লবণ ও গুড় ব্যবসায়ী রঘুনাথ এ এলাকায় এসে ব্যবসা শুরু করেন এবং বিল পত্তন নেন। এভাবে তিনি ধীরে ধীরে প্রচুর জমির মালিক হন। রঘুনাথের বিত্ত-বৈভবের খবর দিল্লিতে পৌঁছে গেলে মোগল দরবারের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের নবাব তাঁকে রাজস্ব প্রদানের আদেশ দেন।
তিনি নবাবকে জানান, তিনি যে এলাকায় থাকেন সেখানে শুধু পানি, কোনো ফসল হয় না। এরপর নবাব তাঁকে প্রতিবছর রাজস্ব হিসেবে ২২ কাহন কৈ মাছ প্রদানের নির্দেশ দেন। তবে অনেক ঐতিহাসিকের মতে, জগতরাম দুবলহাটি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনিই দুবলহাটি বাজবাডিটি নির্মাণ করেন। রাজা হরনাথ রায় চৌধুরী পরবর্তীতে সপরিবার ভারতে চলে যান।