পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
মসজিদটি নাচোল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট। মসজিদের দেওয়ালের প্রস্থ ৩ ফুট। দেয়াল অক্ষুন্ন রাখার বেস্টনীসহ এর প্রশস্থতা ৪২ ইঞ্চি। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে ৪টি বুরুজ। গম্বুজের চুড়ায় একটি মিনার আছে। উত্তর দক্ষিনে ২টি খিলান জানালা রয়েছে। দেওয়ালের চার কোনায় চারটি নাম রয়েছে। পশ্চিম দেওয়ালের ভিতরাংশের মধ্য স্থানে রয়েছে একটি ছোট খিলান মেহরাব।
পূর্ব দেওয়ালের মধ্যে রয়েছে একটি খিলান দরজা। এ দরজার দু’ পাশে রয়েছে ইস্টক অলংকরণে সজ্জিত দুটি দরজা। কাছে থেকে দেখে মনে হবে দরজা দুটি কাঠের এবং নানা নকশা অলংকরনে সজ্জিত যা সম্প্রতি বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে হবে।
কিন্ত প্রকৃতপক্ষে দরজার যাবতীয় অলংকরন ই্টের এবং স্থায়ীভাবে বন্ধ। মসজিদটি গৌড়িয়া ইট দ্বারা নির্মিত। মসজিদের ভিত্তি, দেওয়াল ও গম্বুজটি খিলানের উপরে স্থাপিত। ভিতর ও গম্বুজে বিচিত্র নকশা রয়েছে। মসজিদের বহিরাংশের দেওয়াল গাত্রে বিচিত্র মেরলন নকশা বিদ্যমান। মসজিদের চার কর্নারে চারটি বুরুজের উপর রয়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট চারটি মিনার। কোনো শিলালিপির চিহ্ন নেই। মসজিদের উত্তর পশ্চিম কর্নারে রয়েছে একটি পুকুর। এটি মুসল্লীরা ওজু ও গোসলের কাজে ব্যবহার করতো কিন্তু নতুনভাবে সম্প্রসারণ করায় মসজিদটির প্রকৃত অবয়ব পুরা অংশ ঢাকা পড়েছে।
ঐতিহাসিক এ মসজিদটি কখন কার আমলে বা কে নির্মাণ করেছিল তার নির্দিষ্ট মসজিদটিতে ওই সময়ের স্থাপত্য শিল্পের নির্দশনাবলী বিদ্যমান এবং তার নামানুসারে এ গ্রামের নামকরণ করা হয় আলীশাহপুর। এ কারণে তারা মনে করেন এ মসজিদটি প্রায় ৫’শত বছর আগে নির্মিত । আবার কেউ কেউ মনে করেন ৬/৭ শত বছর আগে এ এলাকায় আলীশাহ নামক ধর্মপরায়ণ এক ব্যক্তি ধর্ম প্রচারের জন্য এসে এই গ্রামে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। আর এ কারণেই তার নামানুসারেই গ্রামের নাম রাখা হয়। এ মসজিদের সঠিক ইতিহাস না পাওয়া গেলেও মসজিদের পুরাকীর্তির নিদর্শন দেখে সবাই মনে করেন এটি ৫ থেকে ৬’শ বছরের পুরনো ।
কিভাবে যাওয়া যায়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউয়িনের ২নং ওয়ার্ডের আলীশাহপুর গ্রামে এর অবস্থান। নাচোল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। মোটরসাইকেল, নসিমন বা মিশুকে করে যাওয়া যায়।