পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
জনশ্রুতি আছে যে, আদিকালে অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধানের ক্ষেত পেকে লাল রঙ ধারণ করত বলেই এই এলাকার নাম ক্ষেতলাল হয়েছে। এর মোট আয়তন ২৫.৫০ একর । ধারণা করা হয় প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে ১১০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৭০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এ দিঘিটি খনন করা হয়।
১৯৯২ সালে এ দিঘিটি পুনরায় খনন করা হয় এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ হাতে দিঘিটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করেন। এ দিঘিটি খনন কালে ১২টি মূর্তি পাওয়া গেছে যা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে দিঘিটির চর্তুদিকের পাড়ে একটি পাকা রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।
দিঘিটির চারপাশে চারটি বাধাই করা ঘাট আছে। শীতকালে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির আগমনে দিঘিটি হয়ে উঠে কলকাকলিতে ভরপুর। দিঘিটির চারদিকের অসংখ্য গাছ-পালা এবং এর স্বচ্ছ পানি এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে যা সকলকে আকৃষ্ট করে। প্রতি বছর অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু লোকের এখানে সমাগম ঘটে।