পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
অনেকই মনে করেন স্থানীয় জনগণের পানির অভাব দূর করতে রাজা পরশুরাম কূপটি খনন করেছিলেন। অমর কূপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত এ কূপের উপরিভাগের ব্যাস ৩.৮৬ মিটার ও নিচের দিকে ক্রমশই ছোট হয়ে গিয়েছে।
একটি চতুষ্কোণ গ্রানাইটের পাথর খন্ড কূপের ভিতর উপরিভাগে পূর্বদিকে বসানো রয়েছে। ধারণা করা হয়, পানি উত্তোলনের সুবিধার্থে এটি ব্যবহার করা হতো। কূপটির তলদেশ পর্যন্ত দুই সাড়িতে আর বেশ কিছু পাথরের খন্ড নির্মাণের সময়ই যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আবার কিংবদন্তি অনুসারে, এই কূপের পানিতে অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যা পান করলে মৃতরাও জীবিত হয়ে উঠতো। এ কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা পরশুরাম যখন শাহ সুলতান বলখী মহীসওয়ারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনি এই কূপের পানির সাহায্যে মৃত সৈনিকদের জীবিত করতেন। এটি শাহ সুলতান শোনার পর তিনি একটি চিলের সাহায্যে একটুকরু গরুর মাংস এই কূপে ফেলে দেন। এরপর থেকে এ কূপের পানির অলৌকিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।