পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে মিলটি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আসে। জাভা থেকে ক্রয়কৃত পুরাতন এ মিলটিতে ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে মিলের মাড়াই ক্ষমতা বাড়িয়ে দৈনিক ১,২২০ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ মেট্রিক টন করা হয়েছে। বর্তমানে মিলের বার্ষিক চিনি উৎপাদন ক্ষমতা ১৫,০০০ মেট্রিক টন।
এ মিল জোন এলাকায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার একর, চাষী সংখ্যা প্রায় ৩৫-৪০ হাজার। এ এলাকায় পর্যপ্ত পরিমাণ আখ চাষ হওয়ায় এখানকার চাষীদের আখ একমাত্র অর্থকরী ফসল। মিলের ৮টি নিজস্ব খামার রয়েছে যার মোট জমির পরিমাণ ৪,৮৭৮ একর। কারখানা ও আবাসিক এলাকা; ১৮টি আখ ক্রয় কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক খামার মিলিয়ে মিলের নিজস্ব জমির পরিমাণ ৪,৯৫৯.৬২৭৫ একর।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ১,২৩৮ জন কর্মকর্তা, স্থায়ী ও মৌসুমী কর্মচারী এবং শ্রমিকের অনুমোদিত পদ থাকলেও বর্তমানে সব মিলিয়ে ৯৭০ জন কর্মরত রয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুবিধার্থে মিল এলাকায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১টি ট্রেনিং কমপ্লেক্স, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি ক্লাব, ১টি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ৬০১টি আবাসন রয়েছে।
স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে সুগার মিলটি আর্থ সামাজিক উনয়ন কার্যক্রমের আওতায় মিলজোন এলাকায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট তৈরি এবং শিক্ষা কার্যক্রমের সহায়তায় ব্যয় করেছে।