পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
সীতাকুণ্ড স্রাইন (তীর্থ) কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ বলেন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি এ তীর্থের মূল তিথি শিবচতুর্দশী। এ দিনেই তীর্থযাত্রীরা শিবরাত্রীর ব্রত রেখে মূল তীর্থ করবেন। পরদিন অমাবস্যা তিথিতে মৃত পূর্বপুরুষের জন্য শ্রাদ্ধ করবেন তারা। এবার শিবচতুর্দশী মেলায় অন্তত ১০ লাখ ভক্ত সমাগমের আশা করা হচ্ছে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক সংস্কার, পর্যাপ্ত লাইটিং, সিসি ক্যামেরা সংযোজন, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
শিবচতুর্দশী তিথির পূজা-পার্বণ: দূরাগত তীর্থযাত্রীরা পুণ্যলাভের আশায় চন্দ্রনাথ ধামে মঠ-মন্দির দর্শন ও পূজা করেন। শিব চতুর্দশী তিথিতে হিন্দু ধর্মালম্বীরা এখানে ব্যাসকুণ্ডে পুণ্যস্নানের পর ভৈরববাড়ি, শম্ভুনাথ বাড়ি, বীরুপাক্ষ ও চন্দ্রনাথ দর্শন করে দেবাদিদেব মহাদেবকে ডাবের জল ও দুধে স্নান করিয়ে মাথায় ফুল ও বেলপাতা দেন। পাশাপাশি অন্যান্য মঠ-মন্দির দর্শন করেন। তবে এ তিথিতে অনেকে ব্যাসকুণ্ডের পাড়ে পূর্বপুরুষদের আত্মার তৃপ্তির জন্য তর্পণ করেন।