পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
এ টাকা চলতি অর্থবছরেই খরচ করা হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে জমি অধিগ্রহণ ও তৃতীয় ধাপে অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে। এতে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে।
এদিকে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরই বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচলের উপযোগী করে রানওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
জানা যায়, বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালুর কথা থাকলেও দীর্ঘদিন এটি শুধু বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। চাহিদা ও সম্ভাবনা বিবেচনায় বেবিচক এ বিমানবন্দর যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতে বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ফুট। এ রানওয়ে ছোট আকারের প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের উপযোগী। আন্তর্জাতিক মানের করতে বিমানবন্দরটি তিন ধাপে আধুনিকীকরণ হবে। এজন্য আরও ৫৫০ একর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। সংস্কারে ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে প্রথম পর্যায়ে রানওয়েটি ৬ হাজার ফুট পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। যা পরে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নীত হবে। এটি হলে পাশের নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসার প্রধান হাব হবে বগুড়া।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, কয়েক দিন আগে ঢাকায় ডিসি সম্মেলন হয়েছে। সেখানে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা ও বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বগুড়ায় বাণিজ্যিক বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ টাকায় প্রথম ধাপের কা
জ শেষ করা হবে। পরে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে শেষ করা হবে
জানা যায়, বগুড়া বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। তবে বিভিন্ন জটিলতায় তা অগ্রসর হতে পারেনি। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসা বিএনপি সরকারের শেষ দিকে বগুড়ায় বিমানবন্দর নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে ১০৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
এরপর ২০০০ সালে রানওয়ে, অফিস ভবন, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। তবে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচল শুরু না হওয়ায় প্রকল্পটি একরকম অচল হয়ে পড়ে। ২০০৫ সালে বিমানবন্দরটি বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিমানবাহিনী সেখানে ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস স্কুল গড়ে তোলে।