পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
বাংলাদেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ, পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, লাইট হাউসের দ্বীপ কুতুবদিয়া, ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, মাতারবাড়ী, শাহপরীর দ্বীপ রয়েছে এই জেলায়। এ ছাড়া কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড় ঘেঁষে বানানো মেরিন ড্রাইভ আপনার কক্সবাজার ভ্রমণকে করবে আরো বেশি আনন্দময়।
লাবণী পয়েন্ট ও কলাতলী বিচ
কক্সবাজার শহর থেকে কাছে হওয়ার কারণে এই দুই বিচে পর্যটকরা বেশি যান। এ দুই এলাকায় নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে ছোট বড় অনেক দোকান রয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। হোটেল থেকে এই দুই বিচে চাইলে হেঁটেই যেতে পারেন।
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় অবস্থিত একটি ফিশ অ্যাকুরিয়াম ও মিউজিয়াম। অ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্সে আছে সাগর ও মিঠা পানির প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ। বিরল প্রজাতির মাছসহ এখানে আছে হাঙর, পিরানহা, শাপলাপাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈল, পিতম্বরী, সাগর কুঁচিয়া, বোল, জেলিফিস, চেওয়া, পাঙাস, আউসসহ আরো অনেক মাছ এবং জলজ প্রাণী।
ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুকুর ও সাগরের তলদেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। ভেতরের সুন্দর ডেকোরেশন অ্যাকুরিয়ামটিকে আরো নান্দনিক করে তুলেছে। অ্যাকুরিয়ামে ঢুকলে মনে হবে আপনি সাগরের তলদেশে আছেন, আর আপনার চারপাশে খেলা করছে বর্ণিল প্রজাতির নানা মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী। পুরো অ্যাকুরিয়ামটি ভালো করে ঘুরে দেখতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘণ্টা। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি সাগরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষা কেন্দ্র। এই ফিশ ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ফি দিতে হবে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া থ্রিডি শোয়ের টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ও ইনানী
কক্সবাজারের সৌন্দর্যের অন্যতম একটি আকর্ষণ হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ। এই সড়ক ধরেই যাওয়া যাবে হিমছড়ি, ইনানী ও দক্ষিণের সৈকতগুলোতে।
পাটুয়ারটেক সমুদ্রসৈকত
ইনানী সমুদ্রসৈকতের পর একটু যেতেই পাটুয়ারটেক সৈকত। বর্ষায় পাহাড় অরণ্যের এ রূপ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় থাকে।
শামলাপুর সমুদ্রসৈকত
মেরিন ড্রাইভ ধরে ঘণ্টা দুয়েক সামনে গেলে শামলাপুর বা বাহারছড়া সমুদ্রসৈকত। মাছধরার নৌকা আর জেলেরা ছাড়া সেইভাবে কোনো মানুষজন চোখে পড়বে না। ঝাউবনে পাওয়া যাবে সবুজ ছোঁয়া। কেউ কেউ একে বাহারছড়া সমুদ্রসৈকত নামেও ডেকে থাকে।
এখানে নির্জনতাও একটা বড় ব্যাপার। কক্সবাজার, হিমছড়ি বা ইনানীতে অনেক মানুষের ভিড় আর হৈ-হুল্লোড়। এখানে তার কিছুই নেই। পড়ন্ত বেলায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো টেনে তীরে তোলার দৃশ্য, জেলেদের জাল দিয়ে মাছ ধরা, স্থানীয় শিশুদের চিৎকার আর দৌড়ঝাঁপের মধ্যে চোখে পড়বে শুধুই সমুদ্র আর তার নীল জলরাশির শোঁ শোঁ গর্জন। এ ছাড়া কক্সবাজারে রয়েছে আরো অনেক পর্যটন স্পট।