নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি ও বংশের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশদের কাছ থেকে বাহাদুর খেতাবপ্রাপ্ত প্রমদরঞ্জন বক্সী। তার ছিল তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। বড় ছেলে বিরেশ্বর প্রসাদ বক্সী আইন বিষয়ে বিদেশে পড়ালেখা করে কর্ম হিসেবে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং তিনি একজন বিচারক ছিলেন।
ছোট ছেলে বিপুলেশ্বর প্রসাদ বক্সী প্রকৌশলী বিষয়ে পড়ালেখা করে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন বেচে নেন। কিন্তু মেজো ছেলে বিশ্বেশ্বর প্রসাদ বক্সী পড়ালেখায় খারাপ থাকায় তিনবার প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি। তাই প্রমদরঞ্জন বক্সী তাকেই পরবর্তী জমিদার হিসেবে জমিদারীর দায়িত্ব দেন। আর অন্যরা অন্যদের কর্মজীবন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাদের জমিদারী ছিল বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বিদ্যাবাগিশ, শিমুলবাড়ী, তালুক শিমুলবাড়ী, কবির মামুদসহ আরো অনেক এলাকা।
এছাড়াও তাদের পাঙ্গা নামক এলাকায় আরেকটি জমিদারী ছিল। যা শিবপ্রসাদ বক্সী নামের একজন দেখাশোনা করতেন। জমিদার বিশ্বেশ্বর প্রসাদ বক্সীর দুই ভাই ভারতের কোচবিহার রাজ্যে একটি বাড়ি ক্রয় করে সেখানে তাদের বাবা জমিদার প্রমদরঞ্জন বক্সীকে নিয়ে চলে যান। শুধু শেষ জমিদার বিশ্বেশ্বর প্রসাদ বক্সী জমিদারী প্রথা বিলুপ্তী হওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে ছিলেন এবং জমিদারী পরিচালনা করেছেন। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও তিনিও ভাইদের কাছে ভারতে চলে যান। আর এইভাবেই এই জমিদার বংশের জমিদারীর ইতি ঘটে।