পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
জুতার ক্ষেত্রে
হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াদৌড়ির কাজটি আরামের সঙ্গে করা যায়—এমন জুতা পরতে হবে। একটু কৌশলী হতে হবে। যেমন—যে জুতায় ফিতা বাঁধতে হয় বা বাকল লাগাতে সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। জুতা এমন হবে, তা যেন ঝটপট পরেই রওনা দেওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, বিমান, বাস বা রেলে চলাচল এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটির মতো কাজে পায়ের আরাম না মিললে মেজাজ বিগড়ে থাকবে। তাই ভ্রমণের আগে আরামদায়ক জুতা কিনতে হবে।
পোশাক
রাথরুম, বিশ্রামাগার বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার কাজে যে পোশাক সমস্যা করে সেগুলো ভুলেও পরা যাবে না। সঙ্গে নেওয়ারও দরকার নেই। পায়ে আটকে যায় বা আঁটসাঁট হয়ে থাকে, এমন পোশাকে ভ্রমণ করতে নেই।
ভারী অলংকার
ভ্রমণ মানে যেহেতু বড় কোনো অনুষ্ঠান নয়, তাই ভারী অলংকার বাড়িতে রেখে যাওয়াই ভালো। এ ছাড়া দামি গয়না নিয়ে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণও বটে; খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অসুবিধা হবে চলাফেরা করতেও।
খোলামেলা পোশাক
হতে পারে আপনার সংস্কৃতিতে কিংবা যেখানে যাচ্ছেন সেখানে খোলামেলা পোশাক পরা যায়। তাই বলে এমনটা করা যাবে না। পোশাকে শালীন থাকতে হবে। শালীনতা সব দেশে, সব সংস্কৃতিতে প্রশংসার দাবিদার।
সুগন্ধির ব্যবহার
দেহের বাজে গন্ধ সামলে রাখতে হবে। কিন্তু নাক কুঁচকে যায়—এমন তীব্র সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। ভ্রমণের সময় যানবাহনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলতে হবে। বিলাসী বাহন ব্যবহার করলেও অন্যের বিরক্তির কারণ হওয়া যাবে না।
কন্টাক্ট লেন্স
এই জিনিসটি অবশ্যই ভ্রমণের সময় চোখে দেবেন না। এগুলো এমনিতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায়। আর নতুন স্থানে গিয়ে এই বিপদ কেন বহন করবেন? চশমা ব্যবহার করুন। এটা অনেক বেশি আরামদায়ক ও নিরাপদ।