পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
তিন দিনব্যাপী এ মেলা ঘিরে এলাকায় সাজসাজ রব পড়ে গেছে। তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রায় ৩০০ বছর আগে তাড়াশের তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায়বাহাদুর রশিক রায় মন্দিরের মাঠে প্রথম দই মেলার প্রচলন করেছিলেন বলে আমরা জেনেছি। আর তখন থেকেই প্রতি বছর এ মেলা হয়ে আসছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাড়াশ উপজেলা সনাতন সংস্থার সভাপতি তপন কুমার গোস্বামী জানান, আমরা শুনেছি জমিদার রাজা রায়বাহাদুর নিজেও দই খুব পছন্দ করতেন। তাই এ দিনে জমিদারবাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে দই পরিবেশন করতেন। আর সেই থেকে জমিদারবাড়ির সম্মুখের শিবরায় মন্দিরের মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে তিনি তিন দিনব্যাপী দই মেলার প্রচলন শুরু করেন, যা আজও চলছে। এদিকে দইয়ের মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে।
যেমন- ক্ষীরসা দই, শাহি দই, চান্দাইকোনার দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, ডায়েবেটিক দই, শ্রীপুরী দই— এ রকম হরেক নামে ও দামের হেরফেরে মেলায় শত শত মণ দই বিক্রি হয়। সাধারণ মানের প্রতি কেজি দই ১৮০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।