লালমনিরহাটের কিংবদন্তিতুল্য স্থানের নাম হালা বটের তল। প্রায় দেড় একর জমিজুড়ে বিস্তৃত অতি পুরনো এই বটগাছের অবস্থান লালমনিরহাট পৌরসভাধীন সাপটানা (উত্তর) মৌজায় লালমনিরহাট-কলাঘাট সড়কের উত্তর পার্শ্বে। বটগাছটির বয়স আনুমানিক ১৩০ বছর। গাছের নিচের ঈদের মাঠটি আরো পুরনো। গত শতকের পঞ্চাশ দশকের শুরুতে জৈনপুরের এক পীর সাহেবকে ওয়াজ করার জন্য এখানে আনা হয়েছিল। আগত লোকজনদের অজু করার জন্য মাঠের পাশে একটি কুয়া খনন করা হয়েছিল।
কথিত আছে, কুয়ায় পানির অপর্যাপ্ততার কারণে পীর সাহেব এক বদনা পানি নিয়ে সেটি কুয়ার ভেতর ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে আর অজুর পানির অভাব হয়নি। ওয়াজ শেষে খিচুড়ি বিতরণের সময় কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে পীর সাহেব খিচুড়ির হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দেন। পরে তার নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকনা একটু সরিয়ে খিচুড়ি বিতরণ শুরু করা হয়। ঐ হাঁড়ির খিচুড়ি আগত লোকজনের মাঝে বিতরণ শেষে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের লোকজনদের জন্যও পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পীর সাহেব ওয়াজ করে চলে যান, কিন্তু ওয়াজ করার মাঠটি এলাকার লোকজনের কাছে পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হতে থাকে। সেই সাথে পীর সাহেবকে ছায়া দানকারী বটগাছটির প্রতিও বিশেষ সম্মান দেখানো শুরু হয়। এখনো প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষকে মানতের উদ্দেশ্যে এখানে আসতে দেখা যায়।