পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
জোটের চেয়ারম্যাশিবলুল আজম কোরেশী বলেন, পরিবেশবাদী, মৎস্যজীবী, চাকরিজীবী, পর্যটন ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও রাতযাপন এবং পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এতে দ্বীপে আর্থিক সংকট ও অভাব দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে কোরেশী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অসংখ্য চাকরিজীবী বেকার হয়ে পড়েছে। উদ্যোক্তারা পথে বসে গেছে। হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি ও মানবিক সংকটের কথা বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি মাস সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিনে প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটক যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু গত বছর পরিবেশ মন্ত্রণালয় পর্যটন সীমিতকরণের আদেশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়, নভেম্বরে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন, কিন্তু রাতযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন ও রাতযাপন করতে পারবেন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না।
তবে যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়াতে নভেম্বর ২০২৪-এ একজন পর্যটকও সেন্টমার্টিন যেতে পারেননি উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, গত ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি হলেও ট্রাভেল পাস সংগ্রহের আতঙ্কে পর্যাপ্তসংখ্যক পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারেননি। যার কারণে শতভাগ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল সেন্টমার্টিনবাসী ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে। দুই মাসের আয় দিয়ে ১২ মাস চলা সম্ভব নয়। মানবিক বিবেচনায় পর্যটকদের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।