শীতকাল যেন ভ্রমণের মৌসুম। ছকে বাঁধা জীবন থেকে ছুটি নিয়ে প্রকৃতির কোলে আয়েশি অবসর কাটাতে কিংবা রোমাঞ্চকর কোনো অভিযানে অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন এখন। তবে ভ্রমণের সাথ সাথে সুস্থতার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য খেয়াল রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়।
খাবার
ভ্রমণে সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। সময়মতো খেতে হবে। নিরাপদ খাবার খেতে হবে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে তৈরি করা খাবার গ্রহণ করুন।
ঘুম
ভ্রমণের সময়টায় ধরাবাঁধা নিয়মের বেড়াজাল নেই। তবে তারপরও কিন্তু এমন কিছু করা উচিত না, পরে যা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই যেমন ঘুম। ভ্রমণে গিয়ে হয়তো প্রতিটি মুহূর্তই উপভোগ করতে চান। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, কুয়াশামাখা ভোর, গোধূলির শেষ আলো, শিশিরকণা, পূর্ণিমা, এমনকি ভ্রমণসঙ্গীর সঙ্গে রাতভর আড্ডা—সবই আপনার চাই? তাহলে কিন্তু মুশকিল! ঘুমের জন্য সময় রাখতেই হবে।
আবহাওয়া
মশা-মাছি এবং পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত থাকুন। বৈরী আবহাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকুন। বাড়তি পোশাক সঙ্গে রাখুন। যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন, সেখানকার আবহাওয়া কেমন, তার ওপর নির্ভর করে ত্বকের যত্নের ধরনটা ঠিক করতে হয়।
ঠোটের যত্ন
পেট্রোলিয়াম জেলি রাখুন সঙ্গে, সব সময়। ঠোঁট একটু শুকিয়ে এলেই লাগিয়ে নিন। ঠোঁট খুব বেশি ফেটে গেলে দুধের সরের সঙ্গে সামান্য মধু বা এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক।
হাত-পা-শরীরের জন্য
তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে নিয়ে মালিশ করুন। পানির পরিবর্তে গোলাপজল কিংবা টোনারও যোগ করতে পারেন। ত্বক সুস্থ থাকবে। ত্বক খুব বেশি শুষ্ক প্রকৃতির হলে তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এ ক্ষেত্রে যতটা তেল নেবেন, পানি, গোলাপজল বা টোনার নেবেন তার অর্ধেক।