পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
শীত মৌসুমে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচরগুলো। এগুলো ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। বালুচরে খেলাধুলা, নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে হাঁটা এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে মিনি কক্সবাজার। যেন সেই ডাকে সাড়া দিয়েই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেখানে থাকছে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়।
যেভাবে যাবেন
চাঁদপুরের ত্রিমোহনার বড় স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের জন্য ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা দিয়ে ট্রলার ভাড়া নিয়ে যে কেউ ঘুরতে যেতে পারেন মিনি কক্সবাজারে। সেখানে পর্যটকদের জন্য নানা ব্যবস্থা করে রেখেছেন তারা। ৮২টি স্টিলবডি ট্রলার নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সমিতি। এই সমিতি পর্যটকদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।
চাঁদপুর বড় স্টেশনের মোহনাঘাট স্টিলবডি ট্রলার সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ স্বপন বলেছেন, শীতের সময় নদীতে চরগুলো জেগে ওঠে। পর্যটকদের জন্য আমরা সমিতির উদ্যোগে ওখানে বসার ব্যবস্থা, টয়লেট, ছাউনি, নামাজের স্থানসহ বেশকিছু আয়োজন করেছি। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও পর্যটন এলাকার সুনাম ধরে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকি।
মেঘনার চরে পর্যটকদের নিরাপত্তা রক্ষায় ট্রলারচালকদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার কথা জানিয়েছে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহার মিয়া এবং নৌ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল।
মিনি কক্সবাজারে নিরাপদ ভ্রমণের স্বার্থে ইজারাদার নিয়োগ ও পন্টুন ব্যবস্থাপনাসহ নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. বছির আলী খান।
তিনি বলেছেন, “মানুষজন মেঘনা নদীর চরগুলোতে প্রতিনিয়ত সময় কাটাতে যাচ্ছেন। তাদের বিনোদনসেবাকে গুরুত্ব দিয়ে সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে রাজস্ব আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ দিয়েছি। একটি পন্টুনও স্থাপন করেছি। আশা করছি, সবাই সুন্দরভাবে মিনি কক্সবাজারে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।”