পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
সুন্দর কারুকার্যমণ্ডিত এ প্রাসাদটি ১৮৯৫ সালে মহারানি হেমন্ত কুমারী দেবী তার শাশুড়ি মহারানি শরৎ সুন্দরী দেবীর সম্মানে নির্মাণ করেন বলে জানা যায়।
কথিত আছে, জনৈক নীলাম্বর মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের (১৬০৫-২৭খ্রি.) কাছ থেকে ‘রাজা’ উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়িরূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয়। সেই ভাগাভাগিতে জমিদারের বড় ছেলে পান সম্পত্তির সাড়ে পাঁচ আনা এবং অন্য তিন ছেলে পান সাড়ে তিন আনা। ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে পুঠিয়া জমিদারিত্বের বিলুপ্তি ঘটে।
কিন্তু জমিদারি বিলুপ্ত হলেও সে আমলে নির্মিত প্রাসাদ, মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনা এখনো টিকে রয়েছে। এই দোতলা রাজবাড়ি ভবনের সম্মুখে উত্তরদিকে খোলা প্রাঙ্গণের অপর পার্শ্বে রয়েছে ২০০ ফুট বিস্তৃত বিশাল পিরামিড আকৃতির চারতলা মনোরম দোলমঞ্চ। ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে একই ধরনের দুটি সম্প্রসারিত অংশ এবং মধ্যবর্তী অংশে রয়েছে এক বিশাল তোরণ। পুঠিয়া রাজবাড়ির আশপাশে ছয়টি রাজদিঘি রয়েছে। প্রতিটি দিঘির আয়তন ছয় একর।
ছয়টি মন্দিরসহ মঠ ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহের মধ্যে রয়েছে- বড় আহ্নিক মন্দির, ছোট গোবিন্দ মন্দির, ছোট আহ্নিক মন্দির, পঞ্চরত্ন শিব মন্দির, ছোট শিব মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, দোলমঞ্চ মন্দির, কেষ্ট খেপার মঠ, খিতিশ চন্দ্রের মঠ, কৃষ্ণপুর ছোট গোপাল মন্দির ও রথবাগিচা বা হাওয়াখানা। প্রতিটি মন্দিরের দেয়ালেই অপূর্ব সব পোড়ামাটির ফলকের কারুকাজ রয়েছে। বাংলার বিভিন্ন গড়নরীতির মন্দিরগুলোর প্রতিটিই আকর্ষণীয়। পুঠিয়া রাজবাড়ির অন্তর্ভুক্ত স্থাপনাসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ধারাবাহিকভাবে নিচে দেওয়া হয়েছে।