পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
পদ্মাপারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাচীন জনপদ উত্তরের জেলা পাবনা। এখানে আছে রূপসী পদ্মার ঢেউয়ের কলধ্বনি, সবুজের বেষ্টনী ও চলনবিলের উত্তাল হাওয়া। স্মৃতি হয়ে আছে হিন্দু-মুসলিম ও ব্রিটিশদের নানা স্থাপনা। সৌন্দর্য বাড়িয়েছে সবুজ প্রকৃতি। নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে রুশদের নতুন শহর। ইতিহাস-ঐতিহ্য ও নতুনের সুন্দর সংমিশ্রণ এই জেলায়। কেউ নতুন শহর দেখতে, কেউবা পুরোনো ইতিহাসের খোঁজে এখানে বেড়াতে আসেন।
ঢাকা, রাজশাহী অথবা খুলনা-যশোর—সবদিক থেকেই খুব সহজে চলে আসা যায় পাবনায়। বাসের সঙ্গে রয়েছে ট্রেনের সুবিধা। ট্রেনে এলে ব্রিটিশ আমলের তৈরি পাকশী, ঈশ্বরদী জংশন অথবা চাটমোহর, ভাঙ্গুরা—যেকোনো স্টেশনে নামা যায়। চাটমোহর অথবা ভাঙ্গুরা স্টেশনে নামলে প্রথমেই উপভোগ করা যাবে চলনবিলের সৌন্দর্য। অন্যদিকে ঈশ্বরদী অথবা পাকশী স্টেশনে নামলে দেখা যাবে ব্রিটিশদের নানা স্থাপনা ও রুশদের নতুন শহর।
পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রাম। এখানেই তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে রুশদের নতুন শহর। পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে নির্মাণাধীন রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। খুব কাছ থেকেই দেখা যাবে প্রকল্পটি, তবে ভেতরে ঢুকতে অনুমতি মেলা বড় কঠিন। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেখে মাত্র এক কিলোমিটার এগোলেই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আবাসিক এলাকা ‘গ্রিন সিটি’। গ্রামটির নাম ‘দিয়ার সাহাপুর’।
এখানে প্রায় ছয় হাজার রুশ নাগরিক বসবাস করেন। তাদের পছন্দ বিবেচনায় শহরের সামনেই তৈরি হয়েছে নান্দনিক সব বিপণিবিতান ও খাবার রেস্তোরাঁ। এসব বিপণিবিতানে যেমন মিলবে রুশদের পছন্দের পণ্য, তেমনই রেস্তোরাঁগুলোয় বসে নেওয়া যাবে রুশ খাবারের স্বাদ। রাশিয়ান নাগরিকদের আনাগোনা, খাবার ও দোকানপাট সব মিলিয়ে মনে হবে এ যেন গ্রামের ভেতর ‘এক খণ্ড রাশিয়া’।