ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তিতে নানান প্রতিবন্ধকতায় দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমে এসেছে পাসপোর্টধারী চলাচল। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ খাতে। বাংলাদেশিদের ক্ষতির পাশাপাশি অচলাবস্থা নেমেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা বাণিজ্যে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যে সব বাংলাদেশি ভারতে যায় তাদের বড় একটি অংশ চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যায়। আর যে-সব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসে তাদের বড় একটি অংশ কম খরচে মেডিকেল শিক্ষায়।
বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া টুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় এদেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন। জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, জনতা আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয় ভিসা সীমিত ও দুই দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেয়।
৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশ চালানোর দায়িত্বে আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর আ. লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন ভারতে। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানা অযুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেলপথে যাত্রীসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত একেবারে কমে এসেছে।
এছাড়া ভিসা বন্ধে বাংলাদেশিদের ভারতে আসা কমে যাওয়ায় কলকাতার হোটেল রেস্তোরাঁ ও হাসপাতালগুলো প্রায় জনশূন্য অবস্থা।
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় দুইশো কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও নানা অযুহাতে ভারত সরকার এখনও রেল পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে এপথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের। ভিসা বন্ধ থাকায় ব্যবসা,বাণিজ্যেও দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে।