নতুন বছরের শুরুতেই নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার রূপ-লাবণ্য আর ঐতিহ্য তুলে ধরতে মাসব্যাপী একটি উৎসবের নামকরণে প্রধান অনুষঙ্গ হয়েছে ফুল। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবটির নাম ‘ফুল উৎসব’।
এই উৎসব ঘিরে ১৩৬ প্রজাতির বাহারি রঙিন ফুলের লাখো গাছে সেজেছে এখানকার ডিসি পার্ক। আছে গোলাপ-গাঁদা, ক্যামেলিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা আরো কত কি! পার্কের ভেতরে উৎসব ঘিরে শোভা যাচ্ছে নানা ধরনের স্থাপত্যশৈলীও।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ডিসি পার্কে শুরু হওয়া এই ব্যতিক্রমী উৎসবের উদ্বোধন করেন সরকারের মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ।
উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এবারের মেলায় অন্তত ১২ লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। গেল বছর অনুষ্ঠিত এই উৎসবে ৯ লাখ লোকের সমাগম ঘটেছিল, এমন তথ্যও দেন জেলা প্রশাসক।
মাসব্যাপী আয়োজিত এবারের উৎসবে স্থান পেয়েছে দেশি-বিদেশি প্রজাতির শীতকালীন নানা ফুল। এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে স্টক, গেজানিয়া, স্নোবক, নেসটিয়াম ও টিউলিপের মতো অনিন্দ্যসুন্দর ফুলের সমারোহ। এ ছাড়া আবহমান বাংলার ঐহিত্য, রূপ-লাবণ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে থাকছে মাসব্যাপী গ্রামীণ মেলা, ঘুড়ি উৎসব, পুতুলনাচ, পিঠা উৎসব। থাকছে মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল, বইমেলা, লেজার লাইট, ফুলের সাজে এক দিন, মুভি শো, ভিআর গেম ও ভায়োলিন শো।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, এবারের উৎসবে বেশ কিছু নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত করা হয়েছে। ভাসমান ফুলবাগান থেকে শুরু করে ১২টি স্টলে গ্রামীণ মেলা বসবে, যা আগের বছর ছিল না। ফুলের ক্ষেত্রেও আছে নতুন সংযোজন। এ ছাড়া এ বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি ১৫ দিনের বদলে ৩০ দিন করা হয়েছে। এখানে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে প্রতিদিন।
Inhale deeply via your nose, hold for a couple ottomax цена of seconds, and then exhale slowly with your mouth.