পর্যটকের ভিড় বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হোটেল-মোটেলের ভাড়াও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েক গুণ। তবুও পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের প্রায় সব রুমই বুকিং হয়ে গেছে। ফলে কাক্সিক্ষত রুম না পেয়ে এবং অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। কয়েকজন পর্যটক অভিযোগ করেন, মানহীন রুম-যার ভাড়া ১ হাজার টাকা হলেও বেশি হবে, সেই রুমের ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা।
শনিবার সকাল ও বিকালে কক্সবাজার সৈকতের প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে লাখো মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। এ ছাড়া মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ার টেক, ইনানী, সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালীর আদিনাথ পাহাড়সহ জেলার প্রায় সব পর্যটন স্পটে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
সরেজমিন দেখা যায়, হোটেল-মোটেলে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট রাখার নিয়ম থাকলেও কোনো হোটেলেই তা নেই। অভিযোগ উঠেছে, বেশিরভাগ হোটেলে প্রতিটি রুম (নরমাল) সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সব হোটেলের রুম বুকিং হয়ে যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের কোনো রুম খালি নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার জানা নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিচ্ছে।
পর্যটকরা জানিয়েছেন, কোথাও রুম খালি নেই। যেসব রুম খালি আছে সেগুলো কোনো মানের নয়। রুমগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তারওপর ভাড়া চায় ৫ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, রুম ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেছি। তিনি বলেন, পর্যটক হয়রানি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রায় সব হোটেলের সামনে হটলাইন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। কোনো পর্যটক ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারে বর্তমানে আড়াই থেকে তিন লাখ পর্যটক অবস্থান করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের নারী-পুরুষের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারের ছিনতাইয়ের স্পটগুলো চিহ্নিত করে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিনে ছিনতাইকারী ও স্পার নামে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করা অর্ধশত অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন