লেখকঃ আমির খসরু সেলিম
উত্তরের শীতের প্রধান বৈশিষ্ট হলো এর তীব্রতা। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় এদিকে একটু বেশিই শীত পড়ে। তার কারণটি দাঁড়িয়ে আছে আরও উত্তরে, পাশের দেশে। হিমালয় পর্বতমালায়। পর্বতের শিখরছোঁয়া বরফের শীতলতা বয়ে চলা বাতাসকে আরও শীতল করে তোলে। সেই বাতাস ছড়িয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গে। বাড়িয়ে দেয় শীতের তীব্রতা। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ডবুকে নিয়মিত ওপরের দিকে থাকে উত্তরবঙ্গের কোনো না কোনো জেলার নাম।
দেশের একেবারে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। সীমান্তবর্তী এই জেলাটি নানা কারণে পর্যটকদের টেনে আনে। কোনো এক শীতের সকালে, আপনি ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকালেন। দেখবেন, আকাশের গায়ে ফুটে আছে ঝলমলে এক পাহাড়ের চূড়া। হ্যাঁ, ওটাই কাঞ্চনজঙ্ঘা। সমতল থেকে পাহাড়ের উচ্চতার কারণে আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, মনে হবে আকাশের গায়েই ফুটে উঠেছে পাহাড়ের চূড়াটি।
ওটা আরও কাছে থেকে দেখতে চান? চলে যান আরও উত্তরে, তেঁতুলিয়া উপজেলায়। একেবারে সীমান্তে, এই জায়গাটি এক অদ্ভুত শান্তি এসে দিতে পারে মনে, মননে। নদীর তীরে বসে, আরও কাছে থেকে পাহাড় দেখার আনন্দ অন্যরকম। জলবায়ুর সখ্যতা থাকলে, এখান থেকে পাহাড়ের যে দৃশ্যটি চোখে পড়ে, সেটা পর্যটকদের অনবরত টেনে আনে এখানে। এখানকার প্রকৃতি মুগ্ধ করে সবাইকে। অনেকগুলো নদী আছে এখানে। নামগুলো ভীষণ মিষ্টি। কয়েকটির নাম শুনুন- মহানন্দা, ডাহুক, তীরনই, জোড়াপানি, বেরং, শাঁও। এছাড়া চায়ের বাগান, কমলার চাষ, এসবও পঞ্চগড়কে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রত্নতাত্তিক আর ঐতিহাসিকভাবেই জেলাটি নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে জেলাটির নাম এমন, সেই পাঁচটি গড়ের নামও জানিয়ে দিচ্ছি- ভিতরগড়, মিরগড়, রাজনগড়, হোসেনগড় আর দেবনগড়।
পঞ্চগড়ের শরীর ঘেঁষে দুটো জেলা। নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও। প্রথমে নীলফামারীর দিকে তাকানো যাক। শীতের কুয়াশা কত রকম, আর কী কী, সব যেন এখানেই একসাথে ঘুরে বেড়ায়। রাত নামার সাথে সাথে এখানে নেমে আসে কুয়াশার চাদর। সাদাটে আর দুর্ভেদ্য। যানবাহনের শক্তিশালী আলোর খোঁচায় সেই কুয়াশায় কুন্ডলী দেখা যায়। গাঢ় ধোয়ার রাশি যেন সবকিছু ঢেকে দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যায়। প্রকৃতির সেই আজব লীলা দেখতে চলে আসতে পারেন নীলফামারীতে।
দেখতে পারেন তিস্তা ব্যারেজ, ধর্মপালের গড়, ডিমলা ফরেস্ট, কুন্দুপুকুর মাজার, হযরত শাহ কলন্দরের মাজার, হরিশচন্দ্রের পাঠ। আর জেলার নামের সাথে মিল রাখা নীলসাগর তো দেখতেই পারেন। এটা আসলে বিশাল এক দিঘি। এটির আগে নাম ছিল রাজা বিরাটের দীঘি বা বিন্যাদীঘি। নীলফামারী জেলার মাটি দারুণ উর্বর। ব্রিটিশ আমলে নীলচাষের জন্য এখানে ইংরেজরা ঘাঁটি গাড়ে। সেখান থেকেই জেলার নামকরণের সূত্রপাত। উনিশ শতকের শুরুর দিকে স্থাপন করা কিছু নীলকুঠির দেখাও এখানে পাবেন।
এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় আসি। প্রকৃতি আর আধুনিকতা এখানে পাশাপাশি বাস করে। কোলাহলমুখর নগর যেমন পাবেন এখানে, তেমনি পাবেন শান্ত প্রকৃতির দেখা। বিলে-ঝিলে দেখা পাবেন শীতের পাখিদের। টাঙ্গন, ছোট ঢেপা, কুলিক, পুনর্ভবা, তালমা, পাখরাজ, নাগর, তিমাই, শুক, আমনদামন এমন সব নামের নানান নদীর দেখাও এখানে পাবেন।
যদি দর্শনীয় স্থানের তালিকা করতে বসেন, তাহলে সেটা লম্বা হতেই থাকবে রাবারের মতো। কয়েকটার নাম বলে যাই ঢোলার হাট মন্দির, জামালপুর জামে মসজিদ। এগুলো প্রত্নতাত্তিক অধিদপ্তরের সুরক্ষিত। আরও আছে হরিপুর জমিদার বাড়ি, আমাই দিঘি, রামরাই দিঘি, ছোট বালিয়া মসজিদ, খুমনিয়া শালবন, শালবাড়ি ইমামবাড়া, মালদুয়ার দুর্গ ইত্যাদি। দক্ষিণ এশিয়ার সবচে বিস্তৃত দু’শ বছরের পুরোনো আমগাছটির দেখাও এই জেলাতেই পাবেন।
উত্তরে সীমান্তঘেঁষা আরেকটি জেলা লালমনিরহাট। রেলযোগে এখানে আসা বেশ সহজ। শীতে খেজুর রসের স্বাদ নিতে, হিমেল প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে আসতে পারেন এখানে। রেল স্টেশন থেকে নেমেই আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হোটেল। নানান স্বাদের খাবার তো পাবেনই, তবে এই হোটেলের মুখরোচক নানাপদের ভর্তার আয়োজন চমকিত করবে আপনাকে। শান্ত শহরে বেড়াতে বেড়াতে দেখে নিতে পারেন প্রাচীন রেলওয়ে কলোনি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকাতর বধ্যভূমি। দেখে নিতে পারেন শেখ রাসেল শিশুপার্ক। কৌতূহল থাকলে বেড়ানোর মতো অসংখ্য জায়গা আছে এখানে। ভৌগলিক কারণে ভারতের সাথে সীমান্ত-প্রান্তের মানুষের চলাচলের জন্য তৈরি করা ‘তিন বিঘা করিডোর’ এই জেলাতেই খুঁজে পাবেন। ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দের ‘হারানো’ মসজিদ, নিদারিয়া মসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্তি¡ক স্থাপনাগুলোও দেখতে যেতে পারেন। দেখতে পারেন সিন্দুরমতি মন্দির ও দিঘি, কাকিনা জমিদার বাড়ি, ভূমি গবেষণা জাদুঘর। জেলার নানান উপজেলায় ঘুরে এখানকার সৌন্দর্যের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন।
এই জেলার পাশেই অবস্থিত কুড়িগ্রাম জেলা। ধরলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই জেলার সদরটিও ছিমছাম। ব্রহ্মপুত্র নদ এই জেলার কোল ঘেঁষেই আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। প্রকৃতি ও পরিবেশের পাশাপাশি শীতে আচ্ছন্ন এই এলাকার জীবনযাপনের বৈচিত্র্যও মনোযোগ দিয়ে দেখে নেবেন। আর যদি স্বীকৃত দর্শনীয় স্থানগুলোর কাছে যেতে চান, দেখুন ধরলা সেতু, শাপলা চত্বর, উত্তরবঙ্গ জাদুঘর, চান্দামারী মসজিদ, কোটেশ্বর শিবমন্দির, পাঙ্গা রাজার জমিদারবাড়ি, ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, ভিতরবন্দ জমিদারবাড়ি, জালাল পীরের দরগাহসহ আরও নানান স্থান। খেজুর রসে তৈরি করা স্থানীয় গুড়ের স্বাদ নিতে ভুলবেন না যেন।
একটু সরে গিয়ে আমরা এবার দিনাজপুর জেলায় যাই। এই জেলায় এক অপরূপ প্রত্নতাত্তিক নির্দশন আছে, যার টান দেশীয় পর্যটক তো অনুভব করেনই, বিদেশি পর্যটকরাও দল বেধে সেই আশ্চর্য সৃষ্টি দেখতে চলে আসেন। সেটা হলো কান্তজির মন্দির। মন্দির নিয়ে আশ্চর্য লোককথা সবার মুখে মুখে ফেরে। পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরছি। এটি জানা থাকলে মন্দির দর্শনে অদ্ভুত শিহরণ অনুভব করতে পারেন।
গল্পটি এরকম ‘মহারাজ প্রাণনাথ স্বপ্ন দেখছেন। তার চোখের পাতা কাঁপছে। সারা শরীর ঘামে ভিজে একাকার। ঘুমের মধ্যেই মহারাজ গোঙানির মতো শব্দ করলেন। শব্দ শুনে তিনি দেবী চমকে জেগে উঠলেন। প্রথমেই স্বামীর দিকে চোখ পড়ল তার। মায়া হলো মহারাজের অবস্থা দেখে। দিনাজপুর নামে বিরাট এক অঞ্চলের প্রতাপশালী মহারাজা ঘুমের ঘোরে শিশুর মতো কাঁদছেন। রানি আস্তে করে স্বামীর গায়ে হাত দিলেন। স্পর্শের আশ্বাসে স্বপ্নের জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে এলেন রাজা। চোখে মেলে তাকাতেই রানি বললেন, উঠো না। বিশ্রাম নাও।
পরদিন সকালেই রানি ডেকে পাঠালেন রাজ্যের প্রধান চিকিৎসককে। চিকিৎসক রাজাকে ভালো করে দেখে বললেন- দুশ্চিন্তার কারণে স্নায়বিক দুর্বলতা এবং সেখান থেকে শারীরিক অচলতা দেখা দিয়েছে। কালীবাড়ির প্রধান তান্ত্রিককেও রানি খবর পাঠালেন। তিনি এসে নানা রকম পূজা-পাঠের পর জানালেন, মহারাজের ওপর দেবতাদের প্রভাব পড়েছে। দেবতারা মহারাজের মাধ্যমে এমন কিছু করাতে চান যা তাকে চির স্মরণীয় করে রাখবে। শারীরিক দুর্বলতা যথা সময়ে কেটে যাবে। চিন্তার কিছু নেই।
এদিকে মহারাজের ঘোরলাগা অবস্থা আরও বেড়ে গেল। বেশিরভাগ সময় ঘরে থাকেন। সহজে বের হন না। রাজ্যের শাসনব্যবস্থা রানিকেই কাঁধে তুলে নিতে হলো। বিচক্ষণ মন্ত্রীদের সাহায্যে টিকে রইল রাজ্য। মহারাজ প্রাণনাথের দত্তকপুত্র রামনাথের মুখের দিকে তাকিয়ে রানি দেবী পুরো পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে চললেন। এক সন্ধ্যায় মহারাজ প্রাণনাথ রানিকে ডেকে পাঠালেন। বললেন- দেবতারা আমাকে এক মহান কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। অনন্য এক মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন তারা। আজ রাতেই এই মন্দির নির্মাণ সমাপ্ত করতে হবে। রানি ভাবলেন, রোগের ঘোরে ভুল বকছেন রাজা। বিশেষ করে স্বপ্নের মন্দিরের যে বর্ণনা মহারাজ দিলেন, সেরকম মন্দির তৈরি করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। রানির সাথে কথা বলে প্রার্থনা করতে বসলেন মহারাজ। মাঝরাতে স্বর্গ থেকে নেমে এলো দেবশিল্পীরা। দেখতে দেখতে ভোর হবার আগেই তৈরি হয়ে গেল সেই অপূর্ব মন্দির!’
আমরা জানি, এ কাহিনি নিছকই এক লোককথা। মহারাজ প্রাণনাথ জীবদ্দশায় মন্দিরের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। পরে তার পোষ্যপুত্র রামনাথ এটি সম্পন্ন করেন। কিন্তু যে মমতা আর অলৌকিক ধারণা থেকে গল্পটি লোকমুখে ছড়িয়ে চলেছে, সেটা একরকমের ভালোবাসারই প্রকাশ। পুরো দিনাজপুরজুড়েই আছে নানা রকম দর্শনীয় স্থান। হাতে সময় করে চলে আসুন। বিখ্যাত দিঘি রামসাগর দেখার জন্য পুরো একটা দিন হাতে রাখতে পারেন। মন জুড়িয়ে যাবে।
এবার আমরা গাইবান্ধা জেলায় যেতে পারি। জেলার নামটি অদ্ভুত লাগে, কিন্তু এখানেও প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রকাশে কোনো কমতি নেই। শীতের সকালে কিংবা বিকালে, গাছের ডালে পাখিদের কলকাকলি মুগ্ধ করে সবাইকে। বিস্তীর্ণ ভূমিতে হলুদ সরিষা ক্ষেতের হাতছানি আপনি এড়িয়ে যেতেই পারবেন না। চলে যেতে পারেন জেলা সদর থেকে কাছেই, এসকেএস ইন রিসোর্টে। সাজানো-গোছানো এই রিসোর্ট আপনাকে মুগ্ধ করবে। প্রকৃতির ছোঁয়া যেমন দেবে, তেমনি দেবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
গাইবান্ধায় এলে এখানকার বিখ্যাত মিষ্টান্ন ‘রসমঞ্জরী’র স্বাদ নিতে ভুলবেন না যেন। দইয়ে ডোবানো ছোট আকারের মিষ্টিÑ এই বর্ণনা শুনেও সেটার অপূর্ব স্বাদ বোঝা যাবে না। চেখে দেখতেই হবে!
উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বলা যায় এর বিভাগীয় সদর রংপুর জেলাকে। আর রংপুর সদরের প্রাণকেন্দ্র বলা যায় টাউনহল চত্বরকে। এখানে আছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আছে প্রাচীনতম ও আধুনিক দুটি পাঠাগার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি আর অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের চর্চাকক্ষ। যেটাকে আমরা টাউনহল বলছি, সেটা একটি প্রাচীন অডিটোরিয়াম। জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনসম্পৃক্ত অনুষ্ঠানগুলো এখানেই পরিবেশিত হয়। এই টাউনহলকে ঘিরে আছে মুক্তিযুদ্ধের বিষণ্ণ স্মৃতি। হানাদার বাহিনি একাত্তরে এখানে ‘টর্চারসেল’ খুলে বসেছিল। সংস্কারের সময় এখানে অনেক দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য রংপুরের বুকে নানান আগ্রহের ঠিকানা পাওয়া যাবে। কিছু জায়গার কথা উল্লেখ করলেই সেটা স্পষ্ট হবে। যেমন: কারমাইকেল কলেজ, তাজহাট জমিদার বাড়ি, প্রাচীন শহর মাহিগঞ্জ, মন্থনা জমিদারবাড়ি, ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি, বেগম রোকেয়ার বাড়ি, রংপুর চিড়িয়াখানা, ভিন্নজগৎ পার্ক। এগুলো খুবই জনপ্রিয় স্থান। আরেকটু খোঁজখবর নিলে শুধু রংপুর জেলা দেখতেই কেটে যাবে অনেকগুলো দিন। বিশেষ ধরনের মাদুর ‘শতরঞ্জি’ আর হাড়িভাঙ্গা আম এখন রংপুরের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীতে উত্তরবঙ্গ একসময় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতো। সেই বিষণ তার নাম ‘মঙ্গা’। এর মানে বোঝায় ‘শীতকালীন স্বল্পতা’। সেই স্বল্পতা কখনো হয়েছে কাজের, কখনো খাদ্যের। তীব্র শীতের প্রকোপে, হেমন্তের পর আর কোনো ফসলের চাষাবাদ এখানে খুব একটা হতো না। কর্মহীন মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো নিথর সময় পার করতো। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনার ফলে সেই সংকট দূর হয়ে গেছে সেই কবেই। মঙ্গা শব্দটি চলে গেছে বহুদূরে। উত্তরের শীত এখন অভিশাপ নয়, আশির্বাদের তালিকায় চলে এসেছে। শীতের আশ্রয়ে এখানে চাষ হচ্ছে সুস্বাদু চা আর বাহারি কমলার।
আসুন, এই শীতে, উত্তরে। এক মায়াময় ভূমিতে।
আমির খসরু সেলিম
লেখক: ছড়াকার ও পরিব্রাজক, ছবি- স্বাতীলেখা লিপি