অনেকেই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রিজার্ভেশন বাতিলের সুবিধার জন্য। এটি ভালো একটি পদ্ধতি হলেও এ কাজে আপনার খরচ কয়েক হাজার টাকার মতো বেড়ে যেতে পারে। কিছুক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি অপ্রয়োজনীয়ও বটে। কারণ বেশিরভাগ হোটেলেই ‘ ‘সেম ডে ক্যানসেলেশন’ পদ্ধতি অর্থাৎ একই দিনে বুকিং করে আবার কোনো রকম বাড়তি খরচ ছাড়া ওই রিজার্ভেশন বাতিল করার সুযোগ আছে। তাই বাড়তি খরচ করে রিজার্ভেশন বাতিলের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
ভ্রমণকারীরা প্রায়ই উন্নতমানের হোটেলগুলোর লয়্যালটি প্রোগ্রামের সুবিধাকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। ম্যারিয়ট, হিলটন এবং চয়েস হোটেলের মতো প্রতিষ্ঠানের সারা বিশ্বে অনেক হোটেল রয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত পয়েন্ট অর্জন করে বিনামূল্যে রুম ও গিফট কার্ড পাওয়া সম্ভব।
হোটেল যদি প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে অনুমোদন না পায়, তবে আপনি তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। এর কারণ হলো অবৈধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্ডের মালিক ব্যাংক থেকে চার্জ-ব্যাক অনুরোধ করতে পারবেন। আর ব্যাংক যদি দেখতে পায় কার্ডটি মালিকের বদলে অন্য কেউ ব্যবহার করেছে তাহলে হোটেলের কাছ থেকে টাকা ফেরত দাবি করার অধিকার আছে তাদের।
চেক-আউটের সময় রুম নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন অনেকেই। এর কোনো মানে নেই। রুমে কোনো সমস্যা খুঁজে পেলে তবে আপনার উচিত শুরুতেই হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া। অভিযোগ জানানো হলে কর্মীরা বেশিরভাগ সময়ই সমস্যাগুলো সঙ্গেসঙ্গে ঠিক করে ফেলতে পারেন।
জেনে নিন হোটেল থেকে কী নিতে পারবেন, কী নিতে পারবেন না
ভ্রমণকে আনন্দময় করে তুলতে পর্যটকদের প্রযোজনীয় সব অনুষঙ্গ থাকে একটি ভালো হোটেল রুমে। হোটেলের সুন্দর বাথ রোব, তোয়ালে, শ্যাম্পুসহ অনেক কিছুই আপনার পছন্দ হতে পারে। কিন্তু সবকিছু আপনি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না।
তবে কিছু কিছু জিনিস কিন্তু চাইলে চেক আউটের সময় নিয়ে যেতে পারেন। একটি ভালো মানের হোটেল থেকে কোন কোন জিনিস নিতে পারবেন, আর কোন কোন জিনিস নিতে পারবেন না, তা জেনে নিন-
সাবান নিতে পারবেন
প্রতিটি হোটেলের শাওয়ার রুমেই সাবান থাকে। আপনি চাইলে এই সাবান নিয়ে যেতে পারেন। তবে সাবান নেওয়ার জন্য গ্রাহককে কোনো জরিমানা করা না হলেও সাধারণত এটি নিরুৎসাহিত করা হয়।
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার নিতে পারবেন
সাবানের মতো ছোট ছোট বোতলে থাকা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও চাইলে নিয়ে যেতে পারবেন। ভালো মানের সব হোটেলেই সাবান, শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারে নিজস্ব ব্র্যান্ডিং থাকে। তাই এগুলো নিয়ে বাইরে ব্যবহার করলে হোটেলেরই এক ধরনের ব্র্যান্ডিং হয়।
কমপ্লিমেন্টারি যেকোনো কিছু নিতে পারবেন
অনেক সময় হোটেল থেকে গ্রাহককে কমপ্লিমেন্টারি অনেক কিছু দেওয়া হয়। যেমন- ড্রাই ক্লিনিং ব্যাগ, কফি, ক্রিমার, সুগার প্যাক ইত্যাদি। এই সবকিছুই আপনি চাইলে নিয়ে যেতে পারবেন।
কাগজ ও কলম নিতে পারবেন
হোটেলের বেড সাইড টেবিল বা বড় টেবিলে রাখা কাগজ ও কলম নিতে পারবেন। এসব কাগজ কলমও সাধারণত হোটেলের ব্র্যান্ডের থাকে।
বিছানার চাদর ও তোয়ালে নিতে পারবেন না
হোটেলের বিছানার চাদর, বাথ বা হ্যান্ড টাওয়েল নেওয়া যাবে না। এগুলো মূলত দামি জিনিস। এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ গ্রাহক হোটেলের তোয়ালে বা এ ধরনের জিনিস চুরি করেন। কিছু কিছু হোটেল চুরি ঠেকাতে তোয়ালেতে ইলেক্ট্রনিক ট্যাগও লাগিয়ে রাখে
ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিতে পারবেন না
অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমের কোন কোন জিনিস বাইরে নেওয়া নিষেধ তা পণ্যের গায়ে স্পষ্ট করে লিখে রাখে। বিশেষ করে দামি ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে। যদি এসব পণ্য হারিয়ে যায় তাহলে এর দাম হোটেল ভাড়ার সঙ্গে যোগ করা হয়।
বাথ রোব নিতে পারবেন না
হোটেলে ভালো একটি গোসলের পর আরামদায়ক বাথ রোব পরার পর মনে হতে পারে যে বাসায়ও একই জিনিস থাকলে মন্দ হতো না। কিন্তু না, হোটেলের বাথ রোব বাসায় নেওয়া যাবে না।
হ্যাঙ্গার, গ্লাস বোতল, মগ নিতে পারবেন না
হোটেলের হ্যাঙ্গার, গ্লাস বোতল বা মগ নিলে বাড়তি জরিমানা তো হবেই, পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপক্ষের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কাও আছে। অনেক উন্নত হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেল রুমের ক্ষতি সাধনকারী ও রুমের বিভিন্ন জিনিস চুরি করা গ্রাহকদের তালিকা তৈরি করে, যাতে পরে এই গ্রাহকদের হোটেলের সেবা নেওয়া থেকে বিরত রাখা যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হোটেল কর্তৃপক্ষ গ্রাহককে পুলিশে দিয়েছে এমন নজিরও আছে।