অক্টোবরের মাঝামাঝি ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল পথের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে। এর কয়েকদিন পরই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রথমে আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল- এই তিন স্টেশনে ট্রেন থামবে। পর্যায়ক্রমে বাকি স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া হবে। সেজন্য দুই মাস সময় লাগবে। জানুয়ারির দিকে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা সীমিত আকারে সীমিত সময়ের জন্য ট্রেন চালাব। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সময়সূচিও কমিয়ে আনা হবে। আমরা দেখেছি বিকালের দিকে অনেক যাত্রী হয়। সেখানে ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে আনা দরকার। আমরা সেক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সিও কমিয়ে দেব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকেই যাত্রী চলাচল শুরু হয় দেশের প্রথম এই বৈদ্যুতিক ট্রেনে। পরে ধাপে ধাপে এই পথের মাঝের নয়টি স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমা পেরিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর মেট্রোরেল চালু হয়। ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই লাইনের নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি-৬।
ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল পথে প্রথম অংশের মত দ্বিতীয় অংশের স্টেশনও ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে সাতটি স্টেশন পড়েছে, যার মধ্যে আছে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, সচিবালয় ও মতিঝিল। এর মধ্যে অক্টোবর খুলতে চলেছে ফার্মগেট, শাহবাগ ও মতিঝিল স্টেশন।