পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
প্রশ্ন : আয়রনম্যান ৭০.৩ সফল হওয়ার পেছনের গল্প সম্পর্কে যদি বলতেন
এক কঠিন প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আয়রনম্যন ৭০.৩ মাইলের সফলতাকে স্পর্শ করতে। ছোটবেলা থেকে ঘুরে বেড়ানোর নেশাকে আরো পাকাপোক্ত করতে নানা ধরনের এক্টিভিটির সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছি অ্যাডভেঞ্চারাস কাজে আমার আগ্রহ এবং অতি উৎসাহ থেকে সাইকেলে দেশ ঘুরে দেখা, লম্বা দূরত্বে হেঁটে চলা, আল্ট্রা ম্যারাথন, সবুজ পাহাড় সাদা পাহাড়ে চড়া, সমুদ্রে লম্বা দূরত্বে সাঁতার কাটা, গভীর সমুদ্রের তলদেশে রঙিন আর ভিন্ন জগৎকে আবিষ্কার করা- এমন বহু কিছু করার সৌভাগ্য হয়েছে। স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটি বলতে সিরিয়াসলি তেমন কিছু করা হয়নি। তবে সাঁতার নিয়ে গত কয়েক বছরে কিছটা সিরিয়াস ছিলাম। বিকেএসপিতে কোচেস ট্রেনিং করার পরে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দিয়েছি শ দুয়েক আগ্রহী প্রশিক্ষণার্থীদের। গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কে একটা পুকুর আছে, সেখানেই সাঁতারের অনুশীলন করেছি।
আয়রনম্যান ইমতিয়াজ ইলাহি, সুলতান মাহমুদ রিপন ভাইরা সেখানেই অনুশীলন করেন। তারা গল্প বলতে বলতে একটা আগ্রহের জায়গায় নিয়ে এলো আমাকে। এখন যেভাবে ট্রেনিং করছি তার থেকে একটু বেশি করতে হবে আয়রনম্যানের জন্য । এসব রেইসে যেতে হলে সাধারণত বড় অংকের অর্থায়নের প্রয়োজন হয়। যা আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব ছিল না । নিজের যতটুকু সম্বল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় সাহস করে ২০২৪ এর আয়রনম্যান ৭০.৩ এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম । সঙ্গে আরো সতীর্থরাও রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে উৎসাহ পেলাম । ট্রেনিং করতে নানা অনুষঙ্গের প্রয়োজন হয়। যা ছিল তা নিয়েই শুরু করে দিলাম । এর মধ্যে মাউন্টেইন বাইকটাও শাহাবুদ্দিন পার্ক থেকে চুরি হয়ে গেল । মুজাহিদ ভাই তার রোড বাইক আমাকে এনে দিয়েছিল সূদুর লন্ডন থেকে। সেই সাইকেল দিয়েই ট্রেনিং চলছিল। এর মধ্যে আন্দোলন শুরু হলো, তার মধ্যেও দৌড়ের অনুশীলন করে গেলাম।
প্রশ্ন : আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা শুরু করছিলেন কবে?
এক বছরের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ আর প্রতীক্ষার পরে মালয়েশিয়ার পথে যাত্রা শুরু করলাম । খুব ভালোভাবে শেষ করলাম আয়রনম্যান ৭০.৩ মাইল । দারুণ এক অভিজ্ঞতা জীবনের ঝুলিতে যোগ হলো।
প্রশ্ন : প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জগুলো কী ছিল?
প্রথমেই বলেছি, আমাদের জন্য এদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে ব্যাপক । স্পন্সরের জন্য নানা জায়গায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ক্রাউড ফান্ডিং করা শুরু করলাম । বন্ধু-বান্ধবী এবং অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশ সহোযোগিতা করেছে আমার এই যাত্রায়। জাহিদ আমাকে তার হেলমেট আর ঘড়ি দিয়েছে । মালয়েশিয়ার লানকাউইতে পৌঁছানোর পরে দেখলাম পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে আমাদের সাইকেল চালাতে হবে। সেখানে ট্রপিকাল ওয়েদার, বৃষ্টি, গরম নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে হবে । সাইকেল, সাঁতার এবং দৌড় পর পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করাটাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ । তার উপর যেকোনো এক্সিডেন্টের ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের সাথে বদরভাই সাইকেল থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হন এবং তাকে রেইস থেকে সরে আসতে হয়। একজন অ্যাথলেট এতদিনের প্রস্তুতি আর অর্থ বিনিয়োগের পরে এমন অবস্থায় পড়লে কেমন মানসিক শক্তি দিয়ে তাকে উঠে দাঁড়াতে হয় একটু ভেবে দেখলে । বুঝতে পারবেন । এই রেইসে ব্রেইন গেইম খুব ইমপোর্টেন্ট। শারীরিক অনুশীলনের সাথে সাথে মানসিকভাবেও আপনাকে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে।
প্রশ্ন : এর আগেও কি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন?
না। এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছি। তবে দেশের মধ্যে ডুয়াথলন, আলট্রা ট্রেইল রান, ফুল ম্যারাথনসহ বেশ কিছু রানিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছি।
প্রশ্ন : প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কাদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা ছিল?
– আমি যাদের সাথে ট্রেনিং করেছি তারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এসব ব্যাপারে পরিবার থেকে তেমন উৎসাহ না পেলেও কেউ আমাদের জন্য এদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে ব্যাপক। স্পন্সরের জন্য নানা জায়গায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ক্রাউড ফান্ডিং করা শুরু করলাম। বন্ধু-বান্ধবী এবং অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশ সহোযোগিতা করেছে আমার এই যাত্রায়। জাহিদ আমাকে তার হেলমেট আর ঘড়ি দিয়েছে। মালয়েশিয়ার লানকাউইতে পৌঁছানোর পরে দেখলাম পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে আমাদের সাইকেল চালাতে হবে। সেখানে ট্রপিকাল ওয়েদার, বৃষ্টি, গরম নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে হবে অসহযোগিতা করেনি। যারা আমার অ্যাক্টিভিটি ফলো করে এবং আমার স্টুডেন্টরা নানাভাবে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের যেসব তরুণ আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চায় তাদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
এই কাজগুলো কঠিন পরিশ্রম আর সাধনার বিষয়। নিজের সাথেই মূলত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে । নিজেকে মানসিক আর শারীরিকভাবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে । কোনো কোচের তত্ত্বাবধানে লম্বা সময় নিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা কঠিন মনে হবে না । তবে প্রস্তুতিটা আসলেই ভালোভাবে নিতে হবে । মাথা ঠান্ডা রেখে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজের যা উৎস আছে তা নিয়েই শুরু করে দিতে হবে প্রশিক্ষণ। কঠিন প্রশিক্ষণ আর নিয়মানুবর্তিতা সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।
প্রশ্ন : আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়? এবং খরচ কেমন?
ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতায় যেহেতু আপনাকে তিনটা খেলা একের পর করতে হবে সেহেতু আপনাকে তিনটা খেলায় পারদর্শী হতে হবে । মানুষ সাধারণত একটা কাজে বেশি দক্ষ বা মনোযোগী হতে পারে । সুতরাং এই ক্ষেত্রে তার উইক পয়েন্ট কোন জায়গায় তা খুঁজে বের করে সেখানে কাজ করতে হবে । যেমন বেশিরভাগের সাঁতারে বেশ অনীহা বা দুর্বলতা আছে, কারণ আমাদের তুলনামূলকভাবে সাঁতারের জায়গা কম আর পানিতে ভীতি কাজ করে । তাই সাঁতারের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে । সঠিক টেকনিক আর অনুশীলন আপনাকে সমৃদ্ধ করবে। যেমন আমার রোড বাইকে দুর্বলতা ছিল, অনুশীলন করতে করতে এক সময় নিজেকে তৈরি করেছি । সপ্তাহে অন্তত দুই দিন লম্বা দূরত্বে সাইকেল চালিয়েছি । নিত্যদিন কমিউট করার ফলে আমার সাইকেলের সাথে একাত্মতা বেড়েছে। এভাবে দৌড়ের অনুশীলনও করতে হবে। নিজের শরীরের সাথে খাপ খাইয়ে এই ট্রেনিংগুলো রুটিনমাফিক করে যেতে হবে । এর সাথে সাথে পর্যাপ্ত ঘুম আর খাওয়া দাওয়া খুব জরুরি। বডি ঠিকমত রিকভারি না করতে পারলে ইঞ্জুরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তারপর লম্বা সময় কোনও ট্রেনিং করা যায় না । তাই খুব সাবধানে সবকিছু সমন্বয় করতে হবে।
আয়রনম্যন প্রস্তুতিপর্ব থেকে শুরু করে রেইস ডে পর্যন্ত খরচ হিসেব করলে তা অনেক গিয়ে ঠেকবে এবং তা ব্যক্তি বিশেষ ভিত্তি করে। কারণ আপনি যতটুকু কমফোর্ট চান সে অনুযায়ী আপনাকে খরচ করতে হবে। ট্রেনিংয়ের অনুষঙ্গগুলো বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। যেমন, সাঁতারের জন্য চশমা, ট্রাইসুট, রানিং সু, রোড বাইক, ক্লিট সু, হেলমেট, ঘড়িসহ আরো নানা ধরনের সেফটি গিয়ার এবং টুলস । এরপর সুষম খাওয়া-দাওয়া এবং মেডিকেল চেকআপ। আয়রনম্যান রেজিস্টেশন ফি-তে একটা বড় অংকের টাকা খরচ করতে হয় । হাফ আয়রনম্যানের জন্য প্রায় ৪০০ ডলার এবং ফুল এর জন্য প্রায় ৮০০ ডলার। এর সাথে আছে ভিসা ফি, এয়ারটিকিট, হোটেল ভাড়া, লোকাল ট্রান্সপোর্ট আর খাওয়া-দাওয়া। সবকিছু মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য অ্যাথলেটদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন পড়ে।
প্রশ্ন : এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য স্পন্সর পেতে করণীয় কী?
স্পন্সর তখনই আপনাকে সহযোগিতা করবে যখন তাদের কাজের সাথে আপনার অ্যাচিভমেন্টের যোগসূত্র থাকবে । নিজেকে কাজের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে যেন তারা আগ্রহী হয় ।
প্রশ্ন : ২০২৩ সালে আপনি বাংলা চ্যানেলও পাড়ি দিয়েছিলেন? সে বিষয়ে কিছু বলুন।
বাংলা চ্যানেল এদেশের অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য দারুণ এক সুযোগ । বঙ্গোপসাগরে সাঁতার কেটে ১৬.১ কি.মি. পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন যেতে অনেক সাহস সঞ্চয় করতে হয়। সাথে লাগে পানিতে লম্বা সময় থাকার কঠিন প্রশিক্ষণ । ২০১৯ সালের দিকে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কের পুকুরে নামা শুরু করি । তখনো মাথায় আসেনি বাংলা চ্যানেলে যাবো। সাঁতারের নিয়মিত অনুশীলন করতে করতে সিনহা ভাইসহ আরো যারা বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তাদের উৎসাহে বাংলা চ্যানেলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকি । বাংলা চ্যানেলের উদ্ভাবক কাজী হামিদুল হক যখন বেঁচে ছিলেন তখনই ২০০৭ সালে রেস্কিউ টিমে গিয়েছিলাম সাঁতারুদের সঙ্গে। সে সময়ে গুটি কয়েকজন সাঁতারু ছিলেন। এত বছর পরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে নিজেই যাচ্ছি তাই খুব উদ্দীপনা কাজ করছিল। ২০২১ এ বাংলা চ্যানেলের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি এবং সেই বছর সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। সেবার সবার সাথে নির্দিষ্ট নৌকা ছিল না এবং সমুদ্র ব্যাপক উত্তাল থাকার কারণে ১০ কিলোমিটার যাওয়ার পরে নৌকায় উঠে যেতে হয়। পরের বছরে যাওয়া হলো না, তবে অনুশীলন চালিয়ে গেলাম । এর মধ্যে সাঁতার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করলাম, সুতরাং আমাকে পানিতেই কাটাতে হলো অনেকটা সময়। ২০২৩ সালে বাংলা চ্যনেলের জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকলাম । ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমরা প্রায় ২৫ জন টেকনাফে চলে গেলাম, সেখানে তিনদিন আমরা সমুদ্রে অনুশীলন করেছি। লোনা পানির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম । এরপর এলো মাহেন্দ্ৰ ক্ষণ, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে আমরা সাঁতার শুরু করলাম। সবার সাথে একটা করে রেস্কিউ বোট ছিল এবং একজন করে ভলেন্টিয়ার। সাঁতার শুরু করার পরে আর কিছু ভাবনাতে ছিল না । কখন সেন্টমার্টিন দ্বীপে পা রাখব সেই লক্ষ্যে সাঁতার কাটতেই থাকলাম । এমন করে কখন ৫ ঘণ্টা কেটে গেল টেরই পেলাম না । কাছাকাছি এসে জেলিফিশের আক্রমণের শিকার হলাম । তাও বিচলিত হলাম না । কারণ তখন আমি দ্বীপ দেখতে পাচ্ছি । বালিতে পা পড়ার মুহূর্তটা এতই স্পেশাল আর আনন্দের ছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন । ৫ ঘণ্টা ৭ মিনিট সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দিলাম।
প্রশ্ন : আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
আমি ছাত্র অবস্থায় নানা ধরনের ভলেন্টিয়ার এক্টিভিটি করেছি, তাই অনন্য কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সৌভাগ্য হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের ধর্মশালায় অ্যানিমেল রেসকিউ সেন্টারে কাজ করার অভিজ্ঞতা, সিসিএ -এর সাথে কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে কাজ করা, ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ প্রোগ্রামে কাজ করা, ভলেন্টিয়ার সার্ভিস ওভারসিজের (ভিএসও) সাথে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে খাগড়াছড়িতে কাজ করার অভিজ্ঞতা, রক্তদান কর্মসূচি, সিডরের সময় বরগুনার পাথরঘাটাতে কাজ করেছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশনের সাথে কাজ করা। এমন আরো নানা দুর্যোগের সময়ে দেশের জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ২০১২ সালে ভারতের হিমালয়ান মাউন্টেইনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পর্বতারোহণের ওপর বেসিক কোর্স করেছি। এরপর ভারতের হিমালয়ে বেশ কিছু ট্রেকিং এবং এক্সপেডিশন করেছি এবং নেপালে এভারেস্ট বেইজ ক্যাম্পসহ থ্রি পাস ট্রেক করেছি।
এই বছর শ্রীলঙ্কাতে অ্যাডামস পিকে গিয়েছি এবং স্কুবা ডাইভিংয়ের বেসিক ওপেন ওয়াটার কোর্স করেছি । এটি আমার জীবনের আরেকটি অনন্য অভিজ্ঞতা বলা যায়। লেখালেখি করছি প্রায় ২০০৪ সাল থেকে। ভোরের কাগজের ফিচার পাতায় লেখা শুরু করে অনেক জাতীয় দৈনিকে আমার লেখা ছাপা হয়েছে। ভ্রমণ নিয়ে এখন মূলত লেখালেখি করছি এবং আমার তোলা ছবিও লেখার সাথে ছাপা হয়। ফটোগ্রাফি শুরু করেছি ফিল্ম ক্যামেরা দিয়ে। এরপর ব্যাসিক ফটোগ্রাফি কোর্স এবং বেশ কিছু ওয়ার্কশপ করেছি। দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন এবং ক্যালেন্ডারে আমার ছবি ছাপা হয় । বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনে আমার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণের পাশাপাশি আমি রান্না করতে ভালোবাসি, বাগান করতে ভালোবাসি, পোস্টাল স্ট্যাম্প জমাই এবং নানা দেশের মুদ্রা ও নোট সংগ্রহ করি।