পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
চলনবিল অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, শিলালিপি, টেরাকোটা, বিভিন্ন দর্শনীয় বস্তু, মাছ, ঝিনুক, শামুক ইত্যাদির নমুনা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালে সরকারিভাবে জাদুঘরের জন্য ৫ কাঠা জমি বরাদ্দ করা হয়।
১৯৮৪-৮৬ সালের মধ্যে নরওয়ের দাতা সংস্থা নোরাড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থ সাহায্যে জাদুঘর ভবন গড়ে তোলা হয়। এরপর ১৯৯০ সালে এটি সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরের অধীনে রেজিস্ট্রি হয়। এই জাদুঘরে দিল্লির সম্রাট আলমগীর ও বাদশা নাসিরউদ্দিনের স্বহস্তে লিখিত কোরান শরিফ, গাছের বাকলে লিখা ২টি সংস্কৃত পুথি, তিন শতাধিক বছরের পুরনো মনসামঙ্গল ও সত্যপীরের পাঁচালিসহ অনেক দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান দলিল ও জিনিস রয়েছে।
তবে বর্তমানে অযত্ন অবহেলায় জাদুঘরটি ধ্বংসের মুখে। স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষগুলোতে রক্ষিত মূল্যবান দুর্লভ প্রত্ন সম্পদগুলো ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে। এছাড়া সংস্কার আর সংরক্ষণের নামে মূল্যবান অনেক জিনিস নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়া মহাস্থান জাদুঘরে। পরে সেগুলো আর ফিরে আসেনি।