পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
তবে ইতিহাস থেকে উক্ত জমিদার বাড়ির একজন জমিদারের নাম জানা যায়। তিনি হলেন জমিদার শশাঙ্ক চৌধুরী। তার নাম মূলত উক্ত বাড়িতে ‘রাধা বল্লভ জিউর’ মন্দির তৈরি করার কারণে ইতিহাসের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে।১৩১১ বঙ্গাব্দে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ধরাইল গ্রামে জমিদার শশাঙ্ক চৌধুরী নির্মাণ করেন ধরাইল জমিদার বাড়ি। রূপকথার এই জমিদার বাড়ি নাটোর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে।
এছাড়া ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে জমিদার বিনোদ বিহারী চৌধুরী দিঘাপতিয়া রাজবাড়ির আদলে ১২ বছর সময় ব্যয় করে প্রাসাদ নির্মাণ করেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ছিলেন, তাই প্রাসাদের নকশা নিজেই প্রণয়ন করেছিলেন। নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা, পাঁচবিবিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধরাইল জমিদারদের তালুক ছিল। নওগাঁয় লীলা সুন্দরী ৩০০ বিঘা জমির খাজনা আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন।
সেখানে গড়ে উঠেছিল ধরাইল জমিদারের কাচারিবাড়ি। বহরমপুরে এক জমিদারের সঙ্গে নীলা সুন্দরীর বিয়ে হওয়ার কারণে ধরাইল জমিদারী ছেড়ে আসেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদাররা আর ধরাইল গ্রামে আসেননি। বর্তমানে জমিদার বাড়ির স্থলে জীর্ণদশাগ্রস্ত বিভিন্ন দালান এবং শান বাঁধানো পুকুরঘাট দেখতে পাওয়া যায়।