রসনা তৃপ্তির এক অপূর্ব মিষ্টি ‘রসমঞ্জরি’। গাইবান্ধাবাসীর উপাদেয় ও প্রিয় মিষ্টান্ন এটি। গাইবান্ধার মিষ্টির দোকানগুলোতে এই মিষ্টান্ন পাওয়া যায় এবং বিক্রির সারিতে সেরা আইটেমও এটি। রসমঞ্জরি মূলত ক্ষীরের মধ্যে মিষ্টি গোল্লার সংমিশ্রণ- যা ঢাকা ও কুমিল্লায় রসমালাই হিসেবে পরিচিত। তবে স্থানীয়ভাবে তৈরি এই রসমালাই উত্তরবঙ্গে রসমঞ্জরি নামে পরিচিত। দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গাইবান্ধায় মিষ্টির দক্ষ কারিগররা গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে রসমঞ্জরি তৈরি করে সুনাম ধরে রেখেছেন।
এই মিষ্টির উদ্ভাবক সম্পর্কে জানা যায়, ষাটের দশকে বাঙালি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা নতুন রকমের এক মিষ্টি তৈরির চেষ্টা চালান। সে সময় মিষ্টি ব্যবসায়ী রাসমোহন দে-র ছেলে নিত্যগোপাল দে ও তার কারিগর কামাক্ষা বাবু মিলে রসমঞ্জরি উদ্ভাবন করেন। তবে সে সময় রসমঞ্জরির দানাগুলো লম্বাটে ও বড় আকৃতির এবং ক্ষীর পাতলা ছিল।
পরে আরেকজন মিষ্টি ব্যবসায়ী রমেশ ঘোষ দানা গোলাকার ও ছোট এবং ক্ষীর ঘন করেন। তখন থেকে এই রসমঞ্জরি জনপ্রিয়তা পায় এবং এখনো সেভাবেই এটি তৈরি হয়। পর্যটকরা এখানে বেড়াতে এলে এই রসমঞ্জরির স্বাদ নিতে পারেন।