বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৫ কিমি. এবং দিনাজপুর জেলা সদর থেকে ৪৫ কিমি. উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের পূর্বে সিংড়া শালবন অবস্থিত। এই বনভূমিতে প্রচুর শালগাছ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বন বিভাগের লাগানো ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমনি গাছ বনকে সমৃদ্ধ করেছে। বনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট একটি নদী দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
বনটি ঠাকুরগাঁও রেঞ্জ এবং দিনাজপুর বন বিভাগের অধীন। সিংড়া শালবনের মোট আয়তন ৩৫৫ হেক্টর। ১৯৫৬ সাল থেকে এটি অর্পিত বনভূমি ছিল বলে জানা যায়। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে বনটির ৩০৬ হেক্টর সংরক্ষিত এলাকা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়েছে। এক সময় বাঘ, নীল গাইসহ বিভিন্ন বন্য জীবজন্তুর অবাধ বিচরণের অভয়ারণ্য ছিল এই বনাঞ্চল। বনে শাল ছাড়াও জারুল, তরুল, শিলকড়ই, শিমুল, মিনজিরি, সেগুন, গামার, আকাশমনি, ঘোড়ানিম, সোনালু, গুটিজাম, হরতকি, বয়রা, আমলকি এবং বিভিন্ন ধরনের লতাগুল্ম ও গাছ রয়েছে।
এছাড়া এখানে খরগোশ, শেয়াল, সাপ, বেজি এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পতঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ চিত্তবিনোদনের জন্য বা পিকনিক করার জন্য এখানে আসে। ভ্রমণপিপাসুদের থাকার জন্য রয়েছে একটি রেস্ট হাউস। পিকনিক স্পট রয়েছে দুটি। সিংড়া বনভূমিকে আরো সমৃদ্ধ করতে বনবিভাগ ৯০ হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং এরই মধ্যে ২০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়া এই বনের চারপাশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে ৯টি বনরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে।