ভুরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে ১২ কিমি.দূরে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট সীমান্তে এ স্থলবন্দর অবস্থিত। ভারত, আসাম এবং নেপালের সঙ্গে স্থলপথে মালামাল আমদানি ও রপ্তানির সুবিধার্থে ভুরুঙ্গামারী জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ বন্দরটি ২০১২ সালে চালু করা হয়। এ বন্দর দিয়ে ভারত, আসাম ও নেপাল থেকে কয়লা, কাঠ, টিম্বার, পাথর, সিমেন্ট, চায়না ক্লে, বল ক্লে, কোয়ার্টজ, রাসায়নিক সার, কসমেটিক সামগ্রী, পশু খাদ্য, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, গম, বিভিন্ন ধরনের বীজ, তামাক প্রভৃতি মালামাল আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ, মেলামাইনের তৈরি বাসনপত্র এবং ওষুধসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি। গত এক বছরে সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। নদী তীরবর্তী হওয়ার কারণে ব্রিটিশ আমলে সোনাহাট স্থলবন্দরটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল। সোনাহাট স্থলবন্দরটি ভারতের আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ার কারণে ভারতের সেভেন সিস্টার নামে খ্যাত ৭টি অঙ্গরাজ্যের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে।
প্রতিদিন এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের গোলকগঞ্জ থেকে গড়ে ৮০-১০০টি ট্রাক পাথর এবং কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশ থেকেও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশ করে।