পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
সবুজ বনভূমি, সোনালি সৈকত পারে বালুর ঝলকানি, লাল কাঁকড়ার বিচরণ আর হরেক রকমের জীববৈচিত্র্যের সমারোহে ভরপুর এ দ্বীপটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ জনপদের অনন্য সৌন্দর্যের এক নয়নাভিরাম নিদর্শন এ দ্বীপ। সাগরের ঢেউ আর সবুজের মাঝে লুকিয়ে থাকা এই দ্বীপ দেশের পর্যটনশিল্পে এক নতুনমাত্রা যোগ করতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে তারুয়াকে দেশের পর্যটন মানচিত্রে উজ্জ্বল এক স্থানে পরিণত করা সম্ভব। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার সড়কপথ এবং ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে তারুয়া দ্বীপের মোহনীয় রূপ চোখে পড়ে।
যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয় সাগরের গর্জন, চারদিকে বিস্তৃত নীল জলরাশি, আর সবুজে ঘেরা দ্বীপের মোহনীয় দৃশ্য। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের একপাশে বঙ্গোপসাগর আর অন্য পাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি, যা শেষ হয়েছে সৈকতসংলগ্ন ম্যানগ্রোভ বনে। হরিণ, বন্য মহিষ, বানর, লাল কাকড়াসহ বিভিন্ন প্রাণীর বসবাস এই দ্বীপে।
তারুয়ার নামকরণের লিখিত কোনো ইতিহাস নেই।
তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠে সবুজের এই ঢালচর এলাকা। স্থানীয় জেলেরা যখন ওই এলাকায় মাছ ধরতে যেতেন, তখন শত শত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ ওঠে আসত তাদের জালে। ধারণা করা হয়, মাছের কারণেই এ এলাকার নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া।
তারুয়া দ্বীপে স্থায়ীভাবে এখনো উল্লেখযোগ্য হারে বসতি গড়ে ওঠেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, যদি যথাযথ প্রচার এবং পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিতে পারে।