পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
কলকাতার বাবুদেরও রসনা মেটাতে এই বিলের মাছ পাঠানো হতো। বিলের মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে এখানে কয়েকটি পাড়া গড়ে ওঠে-যেগুলো জিয়ানী পাড়া হিসেবে পরিচিত। এক সময় এলাকার লোকজন এই বিলে ঘটা করে পলো দিয়ে একত্রে মাছ ধরতো। এর নাম ছিল বাউত উৎসব।
দেশ স্বাধীন হবার পর পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাঁধ নির্মিত হওয়ার পর পানি কমে যাওয়ায় বিলে মাছের পরিমাণ কমতে শুরু করে এবং সাবেক ঐতিহ্য হারিয়ে যায়। পানি কমে যাওয়ায় বিলের চারপাশে প্রায় তিন হাজার বিঘা চাষযোগ্য খাস জমি জেগে ওঠে- যা পরবর্তীতে জোতদারদের দখলে চলে যায়। শান্ত ও স্নিগ্ধ এই বিলটি এখনো মানুষকে আকর্ষণ করে।