চমকপ্রদ প্রাকৃতিক ভূচিত্রের মরুভূমিও যে রহস্যময় ও রোমাঞ্চকর হতে পারে তা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। চমকপ্রদ প্রাকৃতিক ভূচিত্রের মরুভূমিও যে রহস্যময় ও রোমাঞ্চকর হতে পারে তা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। মরুভূমিতে সাফারি কষ্টকর হলেও আপনি যদি হন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী, তাহলে একবার চেষ্টা করতেই পারেন। তাই সামনের ছুটিতে বেড়ানোর পরিকল্পনা করার সময় বিবেচনা করতে পারেন এই ৫ মরুভূমির কথাও।
সাহারা মরুভূমি
মরুভূমির কথা ভাবলে সম্ভবত সাহারা মরুভূমির নামই মনে আসে প্রথমে। মনে রাখতে হবে, এটি বিশ্বের উষ্ণতম মরুভূমি। তাই বসন্ত বা শরৎকালে যখন আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে তখন সাহারা মরুভূমিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করাই ভালো। মরুভূমির সাফারিতে বালির টিলার উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় যেকোনো মুহূর্তে গাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যাবে বলে মনে হতে পারে! তবে এটি কিন্তু অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দ দেবে আপনাকে। তাপমাত্রা কিছুটা অপ্রীতিকর অনুভূতি দিলেও জায়গাটি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
গোবি মরুভূমি
মঙ্গোলিয়ান গোবি মরুভূমি এশিয়ার বৃহত্তম মরুভূমি। আপনার পরবর্তী চীন ভ্রমণের অংশ হতে পারে এটি। গোবি মরুভূমি অন্য মরুভূমির চেয়ে একটু আলাদা। কারণ এটি তুলনামূলক কম বালুকাময় এবং পাথরেই বেশি ঢাকা। গোবি মরুভূমিতে ৩৩টি ছোট মরুভূমি রয়েছে, যার প্রতিটি নিজস্ব নিখুঁত প্রাকৃতিক ভূচিত্রের জন্য পরিচিত। সেখানে গেলে ‘গালবিন গোবি’ মরুভূমি দর্শন না করলেই নয়। মঙ্গল গ্রহের মতো লাল মাটি আর উট আপনার ভ্রমণের আগ্রহকে পরিতৃপ্ত করবে।
থর মরুভূমি
খুব বেশি দূর ভ্রমণ করতে চান না কিন্তু মরুভূমিতে ছুটি কাটানোর অভিজ্ঞতা চান? তাহলে থর মরুভূমি হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত জায়গা। এই ভারতীয় মরুভূমি উষ্ণ ও আর্দ্র, তাই বলে এটি পরিদর্শন করা থেকে বিরত থাকবেন না যেন! এ মরুভূমিতে ভ্রমণ আপনাকে কেবল মরুভূমির দৃশ্যের মধ্যেই আটকে রাখবে না, সেখানকার বিরল নীলগাই এবং রাজস্থানী সংস্কৃতি অবলোকন করার সুযোগও দেবে। পাহাড়, উট, বালির টিলা এবং আরও নানা কিছুর সম্মিলনে থর মরুভূমি ভ্রমণ আপনাকে বেশ অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি দেবে। এজন্য ১ দিনের ভ্রমণে না এসে অন্তত ২ দিন সময় হাতে রেখে ঘোরার পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
কালো সাদা মরুভূমি
আপনি যদি মিশরে যান তাহলে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট বা কালো সাদা মরুভূমিতে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা একেবারেই উচিত হবে না। নামের মতোই মরুভূমির কিছু অংশ কালো বালু ও অন্যান্য অংশ সাদা বালুতে ঘেরা। জায়গাটিতে দেখা যাবে বহু বছর আগেকার পরিত্যক্ত স্ফিংস, মানুষ এবং অন্যান্য নানা জিনিসের মূর্তি। ফলে এটি যাদুঘর ভ্রমণের অভিজ্ঞতার মতো মনে হতে পারে।
নামিব মরুভূমি
ছোট কিন্তু চমৎকার নামিব মরুভূমিকে বিশ্বের প্রাচীনতম মরুভূমি মনে করা হয়। উপকূলীয় মরুভূমি হওয়ায় এখানে আপনার যে অভিজ্ঞতা হবে তা অন্যান্য মরুভূমির মতো নয়। এই মরুভূমিতে রয়েছে হাতিসহ নানা বন্যপ্রাণী। ভাগ্যবান হলে ফার সিলেরও দেখা মিলতে পারে। এ ছাড়া মরুভূমির লাল টিলাগুলোর কথা না বললেই নয়। এগুলো ৩৫০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। সব মিলিয়ে, নামিব মরুভূমি আপনাকে এমন অভিজ্ঞতা দেবে যা অন্য কোনো মরুভূমি থেকে পাবেন না।